ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

লেনদেনের ২০ শতাংশের বেশি দেশের ব্লক মার্কেটে

২০২২ ডিসেম্বর ১৮ ১১:৩৪:৩৪
লেনদেনের ২০ শতাংশের বেশি দেশের ব্লক মার্কেটে

এমতাবস্থায় বড় বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ ব্লক মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচা করছেন। তবে এ বাজারে একবারে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচার বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে ছোট বিনিয়োগকারীরা এ বাজারে অংশ নিতে পারছেন না। তার পরও ব্লকে লেনদেন বাড়ছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে ৪২৫ কোটি টাকার মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ব্লক মার্কেটেই কেনাবেচা হয়েছে ৯০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের শেয়ার। অর্থাৎ মোট লেনদেনের সোয়া ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে ব্লকে। আবার ব্লকে কেনাবেচা হওয়া শেয়ারের মধ্যে প্রায় ৬৪ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইসের চেয়ে কম মূল্যে।

লেনদেনে এমন চিত্র শুধু গতকালের নয়, প্রায় প্রতিদিনের। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এ সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট ২ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৮৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয় ব্লক মার্কেটে। আর এ বাজারে ফ্লোর প্রাইসের তুলনায় কম মূল্যে কেনাবেচা হয়েছে ২৬৩ কোটি টাকা, যা ব্লকে লেনদেনের প্রায় ৬৮ শতাংশ এবং মোট লেনদেনের পৌনে ১১ শতাংশ।

ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, লেনদেন বাড়াতে ফ্লোর প্রাইসের তুলনায় সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমে ব্লকে কেনাবেচার সুযোগ করেছে বিএসইসি। তার পরও সার্বিক লেনদেন বাড়ছে না। লেনদেন ঘুরেফিরে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে আটকে আছে। অবশ্য ব্লক লেনদেন বাদ দিলে তা আরও কম হতো।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বৃহস্পতিবারও ডিএসইতে দর বৃদ্ধির ওপরের দিকে থাকা শেয়ারগুলোর প্রায় সবই ছিল স্বল্প মূলধনি। সাড়ে ৭ শতাংশ দর বেড়ে মুন্নু সিরামিক কোম্পানির শেয়ার ছিল দর বৃদ্ধির শীর্ষে। সর্বশেষ কেনাবেচা হয়েছে ১৩৮ টাকা ৩০ পয়সায়। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেও শেয়ারটি ১০০ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছিল।

দর বৃদ্ধির এর পরের অবস্থানে থাকা মনোস্পুল পেপারের দর বেড়েছে সোয়া ৬ শতাংশ। অ্যাপেক্স ফুড, হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার এবং কেঅ্যান্ডকিউর শেয়ার দর ৫ শতাংশ বেড়েছে। ৪ শতাংশ দর বেড়েছে নর্দার্ন জুট, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং এবং পেপার প্রসেসিংয়ের। বিপরীতে মাত্র ৯ কার্যদিবসে ৪৮৫ থেকে ৮৭৪ টাকায় ওঠার পর গত মঙ্গলবার থেকে আবারও দরপতন শুরু হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের। বৃহস্পতিবার সাড়ে ৭ শতাংশ দর হারিয়ে সর্বশেষ ৭২০ টাকায় কেনাবেচা হয়েছে।

প্রাথমিক হিসাবে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৬ শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৫৩টির দর কমেছে, অপরিবর্তিত ছিল ২৩৪ কোম্পানির শেয়ার। শেষ পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইসে পড়ে ছিল ৩০২ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে দরবৃদ্ধি বিবেচনায় শীর্ষে ছিল কহিনূর কেমিক্যাল। এ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৩২ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ দর বেড়েছে জুট স্পিনার্সের। ১৮ শতাংশের ওপর দরবৃদ্ধি নিয়ে এর পরের অবস্থানে ছিল মুন্নু সিরামিক।

বিপরীতে ৯ শতাংশ দর হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে ছিল ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস। দরপতনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা কেডিএস অ্যাকসেসরিজের দর কমেছে সাড়ে ৭ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে থাকা মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৩ শতাংশ দর হারিয়েছে।

ফ্লোর প্রাইসের বাইরে থাকা শেয়ারগুলোর মধ্যে বৃহস্পতিবার দরবৃদ্ধি পাওয়া শেয়ার সংখ্যার তুলনায় দর হারানো শেয়ার বেশি হলেও সার্বিক হিসাবে গত সপ্তাহের চিত্র ছিল উল্টো। রোব থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত এমন বেশিরভাগ শেয়ারের দরবৃদ্ধির প্রভাব ছিল সাপ্তাহিক লেনদেন চিত্রে।

গত সপ্তাহে ৩৯১ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩০টির। বাকি ২৯৭টির দর ছিল অপরিবর্তিত। দর অপরিবর্তিত শেয়ারগুলোসহ দর হারানো কয়েকটি মিলে ফ্লোর প্রাইসে নেমে আসা শেয়ার সংখ্যা ৩০২টিতে উন্নীত হয়।

মোর্শেদ/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর