ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

‘ভারত সহায়তা না করলে মাত্র ৯ মাসে স্বাধীনতা পেতাম না’

২০২২ ডিসেম্বর ১৭ ১৯:১৮:০৫
‘ভারত সহায়তা না করলে মাত্র ৯ মাসে স্বাধীনতা পেতাম না’

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে 'বিজয়ী বাংলার স্বর্ণজয়ন্তী বাস্তবায়ন পর্ষদ'-এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু দ্বিপাক্ষিক সমস্যা আছে, অনেক সমস্যা ইতোমধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। আরও কিছু সমস্যা আছে, বিশেষ করে পানির সমস্যা। আমরা আশা করি কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও বেশি ভালো হবে ও সেই বন্ধুত্ব স্থায়ী হবে।

মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী স্মৃতিসৌধ কিছুদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হবে। মিত্রবাহিনীর যেসব সৈন্য একাত্তরে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মরণে আশুগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ৪৭ সালে ইংরেজদের যখন বিতারণ করা হয় তখন মুসলমানদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়। কিন্তু ৫৬ ভাগ বাঙালিকে তারা ভাষার অধিকার দিতে অস্বীকার করে। ফলে পাকিস্তান আন্দোলনের তরুণ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব অনুভব করেছিলেন যে, পাকিস্তানে বাঙালি কোনো অধিকার পাবে না। ব্রিটিশদের পরিবর্তে নতুন পাকিস্তানি শাসক এসেছে। এরপর বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ১৯৫৬ সালে আদমজী কারখানায় দাঙ্গা বাধিয়ে ইস্কান্দার মির্জা বাঙালি-বিহারী দাঙ্গা লাগিয়ে ৯২ (ক) ধারা জারি করে শেরে বাংলার মন্ত্রিসভা বাতিল করেছিল। এরপরই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করেছিল।

মোজাম্মেল হক বলেন, ভারত অস্ত্র দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, এক কোটি শরণার্থীকে অন্ন-বাসস্থানের সাহায্য করেছে। ইন্দিরা গান্ধী সেসময় শরণার্থীদের বলেছিলেন পূর্ণ জীবনের নিরাপত্তা ও অধিকার নিয়ে আপনারা আবারও দেশে ফিরতে পারবেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যখন ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর চেষ্টা শুরু করে পাকিস্তান তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এর বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে জনমত তৈরি করেন। ব্যক্তিগতভাবেও সব জায়গায় চেষ্টা শুরু করেন।

দেশ স্বাধীনের পরে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে তিন মাসের মাথায় ভারতের সৈন্যবাহিনীকে ভারতে ফেরত নিয়ে নিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী বলে জানান মন্ত্রী।

সভায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রের রচয়িতা ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের মজনু , অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. জয়দীপ মুখার্জি, পশ্চিম বাংলার কবি বিশ্বনাথ লাহা।

মোর্শেদ/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর