শেয়ারহোল্ডারদের টাকা নিয়ে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজে বড় অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজে শেয়ারহোল্ডারদের ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এই অসঙ্গতি উঠে আসে। এছাড়া, শ্রমিকদের জন্য গঠিত ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) বিতরণ না করে প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে।

নিরীক্ষকরা জানিয়েছেন, বিএসইসি-এর নিয়ম অনুযায়ী, ঘোষিত ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের পর ৩০ দিনের মধ্যে বিতরণ করতে হবে এবং ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে সেই পরিমাণ টাকা পৃথক ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতে হবে। তবে, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার টাকার ক্যাশ ডিভিডেন্ড ১০ দিনের মধ্যে পৃথক ব্যাংক হিসাবে জমা রাখেনি এবং অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বিতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। নিরীক্ষকরা জানান, ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার ডিভিডেন্ড বিতরণ করা হলেও, এখনও ২ কোটি ৭৮ লাখ ২১ হাজার টাকার ডিভিডেন্ড বাকি রয়েছে।

শ্রম আইন লঙ্ঘন করে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য গঠিত ৪৬ লাখ ২৩ হাজার টাকার ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ)ও নির্ধারিত সময়ে বিতরণ করা হয়নি।

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ২০১৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এবং এর বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ১৫৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীর মালিকানা রয়েছে ৪৮.৫২ শতাংশ। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারের দর ১৬.৭০ টাকা।

এই ধরনের অনিয়ম কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে এবং শেয়ারবাজারে প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আস্থা সংকট তৈরি করার ঝুঁকি রয়েছে।

সৈকত আহমেদ/