ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আভাস

২০২৪ অক্টোবর ২২ ১১:০৫:০৭
শেখ হাসিনাকে দিল্লি থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আভাস

গত ০৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার দুর্বার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই তিনি দিল্লীর সামরিক ঘাটিতে অবস্থান করছিলেন। যদিও ভারত সরকার তার অবস্থানের বিষয়ে খোলাশা করে কিছু জানায়নি।

নিরাপত্তা সূত্রে এখন চাউর হয়েছে, ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে রাজধানী দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশ মীরাটের সেনানিবাস বা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার একটি গোপন ঠিকানায় ‘মুভ’ করানো হয়েছে।

দিল্লির কেন্দ্রস্থল থেকে মীরাটের দূরত্ব মোটামুটিভাবে ৮৩ কিলোমিটার, অর্থাৎ ৫০ মাইলের অল্প বেশি। সেখানকার সেনানিবাস এলাকায় একটি আধাসামরিক বাহিনীর (খুব সম্ভবত ‘র‌্যাফ’ বা র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স) একটি গেস্ট হাউজ বা অতিথিনিবাসে তাকে রাখা হয়েছে।

দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থার নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘ভিভিআইপি অতিথি’র সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় দিল্লি থেকে তাকে আপাতত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে সরানোর বিষয়ে অক্টোবরের প্রথম দিকেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রটি ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও এই ‘মুভ’ নিয়ে বিস্তারিত খুব বেশি কিছু জানানো হয়নি।

সূত্রটি জানিয়েছে, শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গেই মীরাটে আছেন। যদিও বিষয়টি কেউই নিশ্চিত করে বলেনি।

ভারত সরকার উপলব্দি করে পেরেছে দিল্লিতে তাকে যেখানেই রাখা হোক, সংবাদমাধ্যমের নজর এড়িয়ে, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রাখাটা খুব কঠিন। সে কারণে তাকে অন্যত্র ‘মুভ’ করা হয়েছে।

এদিকে, খুব সহসা শেখ হাসিনা যে ভারত থেকে বাইরের কোনও তৃতীয় দেশে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, সেটাও ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে। তখন থেকেই ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়, দিল্লির বাইরে কোথায় তাকে উপযুক্ত ব্যবস্থায় রাখা যেতে পারে।

উত্তর প্রদেশের মীরাট শহরটি দেশের সবচেয়ে উর্বর প্রান্ত, গঙ্গা ও যমুনা নদীর অববাহিকার মধ্যবর্তী এলাকা বা ‘দোয়াবা’তে অবস্থিত। ঐতিহাসিকভাবে মুঘল আমল বা তারও অনেক আগে থেকে এই অঞ্চলটিতে প্রচুর খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়, ফলে রাজস্বও আদায় হয় বিপুল। ব্রিটিশরাও ঠিক এই কারণেই মীরাটে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করেছিল।

বর্তমানে মীরাট ক্যান্টনমেন্ট এলাকা অবশ্য আড়ে-বহরে অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে, তার ভেতরে বেসামরিক স্থাপনাও অনেক তৈরি হয়েছে। কিন্তু ক্যান্টনমেন্টে এমন অনেকটা অংশ আছে, যেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেনাবাহিনী ছাড়াও বিভিন্ন এলিট ফোর্স বা আধা-সেনা সংস্থারও কার্যালয় আছে সেখানে।

এন/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর