ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ

২০২২ ডিসেম্বর ১৬ ০৭:৪৮:৩১
পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ

আত্মসমর্পণের প্রাক্কালে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ছেয়েছিল আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান গোপনে আয়োজন করতে। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব জানিয়ে দেন, অনুষ্ঠান হবে প্রকাশ্যে।

আত্মসমর্পণ দলিলে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর পক্ষে সই করেন কমান্ডার-ইন-চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা আর যুদ্ধরত পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ছিলেন তখনকার বিমানবাহিনীর প্রধান ও মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান এয়ার কমডোর এ কে খন্দকার।

১৯৪৭ সালে বৃটিশ শাসনমুক্ত হয়ে পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন দেশের জন্ম হয়। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় অংশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা শুরু করে। অতঃপর জনযুদ্ধের আদলে মুক্তিযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা ঘটে।

মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে পর্যুদস্ত ও হতোদ্যম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এদিন আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়; প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালি জাতির প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। সেদিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ৯৩ হাজার সৈন্যসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। স্বাক্ষরিত হয় আত্মসমর্পণের দলিল।

আত্মসমর্পণের দলিলের নাম ছিল ‘INSTRUMENT OF SURRENDER’। এ ঘটনাকে ঢাকার পতন বলেও ডাকা হয়। পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের সেই দলিল তিন প্রস্থে প্রস্তুত করা হয়েছিল।

এর একটি প্রস্থ ভারত সরকার এবং দ্বিতীয় প্রস্থ পাকিস্তান সরকারের কাছে আর তৃতীয় প্রস্থ ঢাকার শাহবাগ জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। যে টেবিলে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছিল; তা ঢাকা ক্লাব থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই টেবিলটিও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ৩৭ সংখ্যক প্রদর্শনী কক্ষে সংরক্ষিত আছে।

এএসএম/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর