ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

এলিগেন্ট সিকিউরিটিজের ট্রেড সাসপেন্ড

২০২২ ডিসেম্বর ১৫ ১১:১৫:২৭
এলিগেন্ট সিকিউরিটিজের ট্রেড সাসপেন্ড

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই বছরের ফিন্যান্সিয়াল অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড সাসপেন্ড করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এমনকি ব্রোকারেজ হাউজটির ডিপি লাইসেন্সও নবায়নের অনুমতি দেয়নি শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে এলিগেন্ট স্টক অ্যান্ড সিকিউরিটিজের লাইসেন্স নবায়ন না করার জন্য ডিএসইকে চিঠিও দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ডিএসই এলিগেন্ট সিকিউরিটিজের লাইসেন্স নবায়ন করেনি। ফলে গত কয়েকদিন ধরেই প্রতিষ্ঠানটিতে শেয়ার লেনদেন বন্ধ রয়েছে।

এদিকে কয়েকজন বিনিয়োগকারী জানান, গত চার দিন আমরা শেয়ার লেনদেন করতে পারছি না। প্রতিদিন অফিসে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে। তবে আমরা জিজ্ঞেস করলেও এখানকার কর্মকর্তারা আমাদের কিছুই বলছেন না। আমরা আমাদের বিও অ্যাকাউন্ট স্থানান্তর (লিংক) করতে চাইলেও সেটি করতে পারছি না। গত রোববার থেকে আমরা এ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। নাম গোপন রাখার শর্তে এলিগেন্ট স্টক অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা ২০২০ এবং ২০২১ সালের অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় ডিএসই ট্রেড সাসপেন্ড করে দিয়েছে। ফলে গত কয়েকদিন এলিগেন্ট সিকিউরিটিজে শেয়ার লেনদেন বন্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা আমাদের কাগজপত্র ডিএসইতে জমা দিয়েছি, হয়তো আগামীকাল থেকেই লেনদেন শুরু করতে পারবো।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ গণমাধ্যকে বলেন, কোন ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেন বন্ধ থাকলে সেটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জানানো উচিৎ। এখানে বিনিয়োগকারীদের টাকা আছে, তাদেরকে ট্রেড সাসপেন্ড করার কারণ জানাতে হবে। আর কোন ব্রোকারেজের ট্রেড সাসপেন্ড করা হলে সেটি ডিএসইর জানানো উচিৎ।

তিনি আরও বলেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে ডিএসইর নির্দিষ্ট সময় পর পর তদন্ত করা উচিৎ। আর বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউজ বাছাই করা প্রয়োজন। ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে অনিয়ম বেশি হয়ে থাকে। ব্যাংক, বিমা বা ভালো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন ব্রোকারেজ হাউজগুলো তুলনামূলক নিরাপদ।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর তামহা সিকিউরিটিজ নিজ থেকেই শেয়ার লেনদেন বন্ধ করে দেয়। গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন স্থগিত করে। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি বিএসইসি অনুরোধে তামহা সিকিউরিটিজের ব্যাংক হিসাব বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স।

এর আগে বানকো সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের ‘সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্ট’ থেকে ৬৬ কোটি টাকা ও শেয়ার আত্মসাতের ঘটনায় ২০২১ সালের জুন মাসে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন স্থগিত করা হয়। একই ধরনের সমস্যার কারণে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজেরও ট্রেড সাসপেন্ড রয়েছে। ফলে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া ব্রোকারেজ হাউজগুলোর কারণে অনেক বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হাবিব/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর