ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

বিদেশি কূটনীতিকদের চিঠি নিয়ে যা জানালেন প্রতিমন্ত্রী

২০২২ ডিসেম্বর ১৩ ১৯:৪৭:২১
বিদেশি কূটনীতিকদের চিঠি নিয়ে যা জানালেন প্রতিমন্ত্রী

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (ডব্লিউজেএনবি) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠক শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘গেল কয়েক দিন বিএনপি নেতারা বিভিন্ন দূতাবাসে ভুল তথ্য সরবরাহ করেছেন। প্রকৃত সত্য জানাতেই বিদেশি কূটনীতিকদের চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’

চিঠিতে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশে কোনো আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি নেই বলেও দাবি করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কূটনৈতিক মিশনগুলোতে ওই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের কারণও ব্যাখ্যা করা হয়।

কূটনৈতিক মিশনগুলোতে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৭ ডিসেম্বর দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। সেদিন সেখানে তাদের পূর্বনির্ধারিত কোনো কর্মসূচি ছিল না। এমনকি পুলিশের অনুমতিও নেয়নি তারা।

এছাড়া অবরোধের কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় যান চলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হওয়ায় পুলিশ তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তা অগ্রাহ্য করে এবং পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে অতর্কিত হামলা, ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের পাশাপাশি যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তাদের বেপরোয়া হামলায় পুলিশের ৪৯ জন সদস্য আহত হন, যার মধ্যে একজনের অবস্থা বেশ গুরুতর।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সেই ঘটনায় দুঃখজনকভাবে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় বেপরোয়া সহিংসতার পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি। দলটির নেতাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা উচিৎ ছিল। কিন্তু তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না বরং তাদের উদ্দেশ্য ছিল অশান্তি সৃষ্টি করে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনা। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো রকম ঝুঁকি নেয়নি।

এছাড়া যথা সময়ে পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে জনগণের জানমালের বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে। বেপরোয়া সহিংসতার পরিকল্পনা ও পুলিশের ওপর হামলায় ইন্ধন থাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ওই দুই সিনিয়র নেতাসহ অন্যদের নামে চারটি মামলা রয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।

পরবর্তীতে পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনায় তাদের সম্পৃক্ততা থাকায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মোর্শেদ/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর