ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

লেনদেনে জৌলুস দেখাচ্ছে সালভো কেমিক্যাল

২০২২ ডিসেম্বর ১৩ ১৯:০৪:১১
লেনদেনে জৌলুস দেখাচ্ছে সালভো কেমিক্যাল

কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তিন বছরের ব্যবধানে এবছর কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড বেড়েছে ১০ গুণ। আর মুনাফা বেড়েছে ৬৬ গুণ। ডিভিডেন্ড ও আয় বৃদ্ধির কারণে কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের নজর বেড়েছে। শেয়ারটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ার কারণে শেয়ারটির লেনদেনে ও দরে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে কোম্পানিটির কয়েকটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ থাকায় হঠাৎ আয়ে ভাটা নামে। এরপর ২০২০ সালের শেষ দিকে বন্ধ থাকা ইউনিটগুলো চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর উৎপাদন শুরু হলে ২০২১ সাল থেকে কোম্পানিটির মুনাফা বাড়তে শুরু করে। যার কারণে তিন বছরের মাথায় কোম্পানিটির মুনাফা ও ডিভিডেন্ডে গতি ফিরে আসে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ভালো আয় হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের ভালো রিটার্ণও দিতে শুরু করেছে কোম্পানিটি। ভালো রিটার্ণ দেওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে শেয়ারটির প্রতি বড় বিনিয়োগকারীদের বিশেষ নজর পড়েছে। যার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে বড় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও।

আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২০ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ০৩ পয়সা। ২০২১ সালে ইপিএস বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ পয়সায়। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১০ গুণ। আর ২০২২ সালে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৮ পয়সা। যা আগের বছরের চেয়ে আরও প্রায় ছয় গুণ বেশি।

২০২০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণ বা ২ শতাংশে। আর ২০২২ সালে সেই একই কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। যা আগের বছরের তুলোনায় ৫ গুণ বেশি।

একই সময়ে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্যও বেড়েছে ক্রমাগতভাবে। ২০২০ সালে এনএভি ছিল ১২ টাকা ৪৬ পয়সা। ২০২১ সালে এনএভি দাঁড়ায় ১২ টাকা ৬৯ পয়সায়। আর ২০২২ সালে দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৬৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ০৮ পয়সা বা ১৪.৫৪ শতাংশ।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরও আগ্রহ বেড়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার ছিল ৮.৬৯ শতাংশ। যা অক্টোবর মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৭৩ শতাংশে। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৪ শতাংশ। অন্যদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬৬.০৩ শতাংশ শেয়ার। আর উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে মাত্র ২৫.১৮ শতাংশ শেয়ার।

হাবিব/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর