ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রে স্যালভো কেমিক্যাল

২০২২ ডিসেম্বর ১১ ২০:০৪:৫২
বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রে স্যালভো কেমিক্যাল

আজ ডিএসইতে ব্লক মার্কেটেও সালভো কেমিক্যাল সবাইকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে। আজ ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ লাখ ১৬ হাজারের বেশি। যার বাজার মূল্য ছিল ১৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার বেশি।

হঠাৎ করে কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, তিন বছরের ব্যবধানে এবছর কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড বেড়েছে ১০ গুণ। আর মুনাফা বেড়েছে ৬৬ গুণ। ডিভিডেন্ড ও মুনাফা বৃদ্ধির কারণে কোম্পানিটির শেয়ারে বড় বিনিয়োগকারীদের নজর পড়েছে। আর বড় বিনিয়োগকারীদের নজর বাড়ায় কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন পাবলিক মার্কেটে এবং ব্লক মার্কেটে গত দুই বছরের মধ্যে আজ রেকর্ড লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে কোম্পানিটির কয়েকটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ থাকায় হঠাৎ আয়ে ভাটা নামে। এরপর ২০২০ সালের শেষ দিকে বন্ধ থাকা ইউনিটগুলো চালু করার উদ্যোগ নেয় কোম্পানিটির কর্তৃপক্রষ। এরপর উৎপাদন শুরু হলে ২০২১ সাল থেকে কোম্পানিটির মুনাফা বাড়তে শুরু করে। যার কারণে তিন বছরের মাথায় কোম্পানিটির মুনাফা ও ডিভিডেন্ডে গতি পায়।

ভালো মুনাফা হওয়ায় কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগকারীদের ভালো রিটার্ণও দিতে শুরু করেছে। ভালো রিটার্ণ দেওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে বড় বিনিয়োগকারীদের হঠাৎ নজর কেড়েছে। যে কারণে কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে বড় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও। ফলশ্রুতিতে শেয়ারটির রেকর্ড সর্বোচ্চ লেনদেন।

২০২০ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল মাত্র ০৩ পয়সা। ২০২১ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ পয়সায়। অর্থাৎ আগের বছরের তুলোনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ১০ গুণ। আর ২০২২ সালে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ১ টাকা ৯৮ পয়সা। যা আগের বছরের চেয়ে আরও প্রায় ছয় গুণ বেশি।

২০২০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণ বা ২ শতাংশে। আর ২০২২ সালে সেই একই কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। যা আগের বছরের তুলোনায় ৫ গুণ বেশি।

একই সময়ে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্যও ক্রমাগত বেড়েছে। ২০২০ সালে এনএভি ছিল ১২ টাকা ৪৬ পয়সা। ২০২১ সালে এনএভি দাঁড়ায় ১২ টাকা ৬৯ পয়সায়। আর ২০২২ সালে দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৫৮ পয়সায়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ৬৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় আরও বেড়েছে ০৮ পয়সা বা ১৪.৫৪ শতাংশ।

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকা কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরও বিনিয়োগ বেড়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার ছিল ৮.৬৯ শতাংশ। অক্টোবর মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৭৩ শতাংশে। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে ০.০৪ শতাংশ। অন্যদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬৬.০৩ শতাংশ শেয়ার। আর উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে মাত্র ২৫.১৮ শতাংশ শেয়ার।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চাপে রেখেছে।

ইসলাম/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর