ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

আবারও মিরাজ-মোস্তাফিজ বীরত্ব, সিরিজ বাংলাদেশের

২০২২ ডিসেম্বর ০৭ ২০:৩৪:৫৫
আবারও মিরাজ-মোস্তাফিজ বীরত্ব, সিরিজ বাংলাদেশের

প্রথমদিকে ভারতীয় পেসারদের গতির মুখে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। কে ভেবেছিল দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ? সবাইকে অবাক করে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুললেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের ৩১ ওভারে স্কোর বোর্ডে যোগ করে ২০২ রান।

ভারতের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে মহেন্দ্র সিং ধোনীর ভারতের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজটি টাইগাররা জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে।

এবার রোহিত-কোহলিদের ধবলধোলাইয়ের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুদল।

টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং স্কোরের সবচেয়ে বড় অবদান ক্যারিয়ারে প্রথমবার সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের। কম যাননি অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে ১৪৮ রানের জুটি গড়েন মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ।

ভারতের বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। প্রথম ম্যাচে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে প্রবল সমালোচনার শিকার মাহমুদউল্লাহ খেলেন ৯৬ বলে ৭৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।

অপরাজিত থেকে ইংনিস শেষ করেন মিরাজ। রিয়াদকে নিয়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনার পর, চোখ ধাঁধানো শটে দ্রুত রান তুলে সময়ের দাবি মেটান। ইংনিংসের শেষ বলে এক রান নিয়ে ৮৩ বলে পূরণ করে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক।

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শতকের দেখা পেলেন মিরাজ। এর আগের শতকটি ছিল আয়ারল্যান্ডের সিমি সিংয়ের। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই ইনিংসটি খেলেন আইরিশ অলরাউন্ডার।

শেষ দিকে বাংলাদেশের ইনিংসকে আরও সমৃদ্ধ করে মিরাজ ও নাসুম আহমেদের ২৩ বলে ৫৪ রানের জুটি।

অথচ আজ বুধবার মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দুই পেসার মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিকের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ভেঙে পড়ে টপ ও মিডল অর্ডার।

ওপেনিং জুটিতে পরিবর্তন এনে কোনো লাভ হয়নি। অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংস শুরু করা এনামুক হক বিজয়কে (১১) ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। বলের লাইন মিস করে বোল্ড হোন লিটন (৭)। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

কিন্তু উমরান মালিকের গতিতে উড়ে যায় তার স্টাম্প। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ১২ বল ব্যবধানে ডানহাতি এই অফ স্পিনারের শিকার হন সাকিব আল হাসান (৮), মুশফিকুর রহিম (১২) এবং আফিফ হোসেন (০)। সেখান থেকে শুরু হয় মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজের সংগ্রাম।

প্রথম ওয়ানডের নায়ক মিরাজ ছিলেন বেশ সাবলীল। ধীরে ধীরে দুজনে গড়ে তোলেন কার্যকর এক জুটি। এই জুটির অর্ধশতক আসে ৬৩ বলে।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয় অর্ধশতক তুলতে মিরাজ খেলেন ৫৫ বল। আর ৭৪ বলে আসে মাহমুদউল্লাহার অর্ধশতক। ৪৬ ওভারে ভাঙে সেই জুটি। শেষ দিকে ঝলসে নাসুম আহমেদের ব্যাটও।

ব্যক্তিগত ৫ রানের ডানহাতি এই পেসারের বলে সরাসরি বোল্ড হন কোহিল। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও বোলিংয়ে এসে উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব।

রহমান/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

খেলাধুলা এর সর্বশেষ খবর

খেলাধুলা - এর সব খবর