ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

মাইনাস রিজার্ভে চলছে বস্ত্র খাতের ১০ কোম্পানি

২০২৩ ডিসেম্বর ১৬ ১৯:১৪:৩১
মাইনাস রিজার্ভে চলছে বস্ত্র খাতের ১০ কোম্পানি

মাইনাস রিজার্ভের কোম্পানিগুলো হলো-আলহাজ্ব টেক্সটাইল, অলটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ, সিএনএ টেক্সটাইল, দুলামিয়া কটন, মিথুন নিটিং, রিংশাইন টেক্সটাইল, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, টুংহাই নিটিং, জাহিন স্পিনিং ও জাহিন টেক্সটাইল।

অর্থনীতিবিদদের মতে, যেসব কোম্পানির রিজার্ভ ভালো, সেসব কোম্পানির আর্থিক ভিত খুব মজবুত। যেকোনো বিরুপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম। যেসব কোম্পানির রিজার্ভ কম, সেসব কোম্পানির আর্থিক ভিত দুর্বল। আর যেসব কোম্পানির রিজার্ভ মাইনাস, সেসব কোম্পানির আর্থিক ভিত একেবারে নড়েবড়ে। কোম্পানিকে ধারে-কর্জে চলতে হয় ।

আলহাজ্ব টেক্সটাইল

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে মাইনাস ১ কোটি ০৬ লাখ টাকা।

কোম্পানিটিতে বর্তমানে দুটি পরিচালনা পর্ষদ বিরাজ করছে। যার কারণে দুই পরিচালনা পর্ষদে চলছে রশি টানাটানি।

সম্প্রতি কোম্পানিটির একটি পক্ষ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণার উদ্যোগ নিলেও আর এক পক্ষের বাধার কারণে তা থমকে যায়। যে কারণে কোম্পানিটি এখন আর সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারছে না।

সর্বশেষ তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত কোম্পানিটি আর্থিক প্রতিদেবন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, সমাপ্ত অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৩০ পয়সা।

আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ২ টাকা ৫৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল পজিটিভ ১৩ পয়সা।

অলটেক্স ইন্ডাষ্ট্রিজ

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে মাইনাস ২২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২২ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা।

আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ২৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৯ পয়সা।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ‘নো ডিভিডেন্ড’দিয়েছে।

সিএন্ডএ টেক্সটাইল

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৩৯ কোটি ৩২ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে মাইনাস ৩২৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ০৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ০৩ পয়সা।

আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ০৪ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল প্রায় ০১ পয়সা।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ০.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

দুলামিয়া কটন

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে মাইনাস ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১৭ পয়সা।

আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ১৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল মাইনাস ০৮ পয়সা।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ‘নো ডিভিডেন্ড’দিয়েছে।

মিথুন নিটিং

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে মাইনাস ১৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

কোম্পানিটি এখনো চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ‘নো ডিভিডেন্ড’ঘোষণা করেছে। তবে কোম্পানিটি চট্টগ্রাম ইপিএজড অধিগ্রহণ করায় আর্থিক প্রতিবেদন তথা ইপিএস, ক্যাশ ফ্লো এবং সম্পদ মূল্য প্রকাশ করেনি। যা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি-কে জানানো হয়েছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।

রিংশাইন টেক্সটাইল

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৪৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে মাইনাস ৬২৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করেনি।

সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোম্পানিটি ‘নো ডিভিডেন্ড’ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ২ টাক ৫৩ পয়সা এবং ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ১ টাকা ০৭ পয়সা।

সোনারগাঁও টেক্সটাইল

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ২৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে মাইনাস ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল ১০ পয়সা।

আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ১০ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল পজিটিভ ১১ পয়সা।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ‘নো ডিভিডেন্ড’ দিয়েছে।

তুংহাই নিটিং

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১০৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বিপরীতে রিজার্ভ রয়েছে মাইনাস ৭৬ কোটি ৫৭লাখ টাকা।

কোম্পানিটি এখনো সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন তথা ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

সমাপ্ত অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ২১ পয়সা।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ০১ পয়সার কম। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল মাইনাস ০২ পয়সার কিছু বেশি।

জাহিন স্পিনিং

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। বিপরীতে মাইনাস রিজার্ভ রয়েছে ৫৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ০৮ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল ০২ পয়সা।

আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে মাইনাস ০৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল শেয়ার প্রতি পজিটিভ ০৯ পয়সা।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ০.২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

জাহিন টেক্সটাইল

কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। বিপরীতে মাইনাস রিজার্ভ রয়েছে ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ের ইপিএস জানায়নি।

আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ১ টাকা ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ের ক্যাশ ফ্লো জানায়নি।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করেছে।

মার্কেট আওয়ার/আওলাদ

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর