ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না: প্রধানমন্ত্রী

২০২২ ডিসেম্বর ০৪ ১৪:২৯:৫১
আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করেছি এবং সেই সাথে বাংলাদেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করে ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীণতার সুবর্ণ জযন্তী উদযাপন করেছি এবং সে বছরই বাংলাদেশ জাতিসংঘ কতৃর্ক উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।’

আজ রোববার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) প্যারেড গ্রাউন্ডে ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদি কোর্সের কমিশন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২২’ এ যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে আমাদের সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করছি। ২০১৬ সালে ‘বাংলাদেশ পিস বিল্ডিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতির পিতা প্রণীত প্রতিরক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষানীতি, ২০১৮’ প্রণয়ন করেছি। অ্যারোস্পেস ও এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে আমরা সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন, রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন এবং বরিশালে ৭ পদাতিক ডিভিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। গত ৪ বছরে বিভিন্ন ফরমেশনের অধীনে ৩টি ব্রিগেড এবং ছোট-বড় ৫৮টি ইউনিট প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। সম্প্রতি মাওয়া-জাজিরাতেত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শেখ রাসেল সেনানিবাস এবং মিঠামইন, রাজবাড়ী ও ত্রিশালে নতুন সেনানিবাস স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আর্মি এভিয়েশনের ফরোয়ার্ড বেস এবং লালমনিরহাটে এভিয়েশন স্কুল নির্মাণের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীতে নতুন কম্পোজিট ব্রিগেড ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড যুক্ত করেছি। প্রতিটি বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক এবং যুগোপযোগী অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আজকের দিনটি আপনাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ প্রশিক্ষণের পর কাক্সিক্ষত কমিশনপ্রাপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। আজকের এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আপনাদের উপর ন্যস্ত হলো দেশমাতৃকার মহান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব আপনারা যথাযথভাবে পালন করবেন বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আমি আশাকরি আমাদের নবীন ক্যাডেটরা এই কথা মনে রেখে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের ওপর দায়িত্ব পালন করবে। আমরা প্রতিটি বাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক এবং সময়োপযোগী যুদ্ধাস্ত্র সংগ্রহ করছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদার ও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কাজ করছি।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তাঁর সরকার উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে তিনি নতুন কমিশন প্রাপ্ত ক্যাডেটদের উদ্দেশে বলেন, আজকের যারা নবীন অফিসার তারই হবেন আমাদের ‘৪১ এর সৈনিক এবং তারাই এই বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেকে গড়ে তুলবেন। লক্ষ্য স্থির রেখে আমরা এগিয়ে যাব।

আলম/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর