ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

সাবসিডিয়ারির শেয়ার ছাড়ায় ডুবছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার

২০২৩ ডিসেম্বর ০৮ ০৭:৩৭:০৯
সাবসিডিয়ারির শেয়ার ছাড়ায় ডুবছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার

কোম্পানিটি মূলত সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছেড়ে দেয়ার কারণে বড় লোকসানের মুখে হয়েছে। অন্যদিকে, এককভাবে আর্থিক হিসাবে কোম্পানিটি মুনাফায় থাকলেও আগের তুলনায় মুনাফা কমেছে।

ইপিজিপিএলসি-এনার্জিপ্যাক এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড (ইপিভিএল) এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার ঠাকুরগাঁও লিমিটেডের (ইপিভিটিএল)

সাবসিডিয়ারির শেয়ার ছেড়ে দেয়ার কারণে লোকসানের বিষয়ে এনার্জিপ্যাক স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে, সমন্বিত আর্থিক হিসাবে এনার্জিপ্যাকের সহায়ক প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার লিমিটেড এবং দুটি উপসহায়ক প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার চিটাগং লিমিটেড ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চার ঠাকুরগাঁও লিমিটেডের শেয়ার বিক্রি করে ৯১ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এই লোকসানের মধ্যে তিনটি সহায়ক প্রতিষ্ঠানের পুনর্মূল্যায়িত সঞ্চিতি বাবদ ৪১ কোটি ৫০ লাখ টাকাও রয়েছে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, এনার্জিপ্যাকের কাছে থাকা নার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চারের শেয়ার ৩১ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে এবং এতে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চারে থাকা মূল কোম্পানির ৮১ শতাংশ পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে আর নেই। শেয়ার ছেড়ে দেয়ার সময় নার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চারের নিট সম্পদমূল্য ছিল ৮৭ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। একত্রীকরণের ফলে যখন নার্জিপ্যাক পাওয়ার ভেঞ্চারের শেয়ার বিক্রি করে দেয়া হয় তাতে এনার্জিপ্যাকের ১৬ কোটি ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরোক্ষ ক্ষতি হয়েছে।

পাশাপাশি এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের কাছে থাকা এনার্জিপ্যাক ভেঞ্চারের পুরো শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে এবং এতে ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এনার্জিপ্যাক ভেঞ্চারের শেয়ার ছেড়ে দেয়ার কারণে সার্বিকভাবে যে ক্ষতি হয়েছে সেটি এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের সমন্বিত আর্থিক হিসাবে বড় ধরনের প্রভাব রেখেছে এবং এতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মুনাফায় পতন হয়েছে।

এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এককভাবে এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে (ইপিএস) ৭৫ পয়সা। যেখানে এর আগের অর্থবছরে ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সা। এককভাবে মুনাফা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি বলছে, মজুদ পণ্য ও মন্দ ঋণ সঞ্চিতি পুনর্মূল্যায়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রাজনিত লোকসানের কারণে মুনাফার ওপর প্রভাব পড়েছে।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের (উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে) জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।

৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি এককভাবে সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ১৮ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। তার আগের ২০২০-২১ অর্থবছরেও ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

মার্কেট আওয়ার/আওলাদ

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর