ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

৫ শীর্ষ ব্যবসায়ীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শুরু

২০২৩ অক্টোবর ০৯ ১০:৩০:৩০
৫ শীর্ষ ব্যবসায়ীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শুরু

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আয়ের বৈধ উৎস প্রকাশ করতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্রের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের আওতায় এসব সম্পদ জব্দ করা হয়। পর্যায়ক্রমে এই তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলেও জানিয়েছে সূত্র।

কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। সন্দেহভাজন তালিকায় ১৫ বাংলাদেশিকে রেখে অর্থ পাচারসহ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে এফবিআই। অবশেষে তারা প্রমাণ পেয়েছে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর দেশধের একটি গণমাধ্যমে ‘যুক্তরাষ্ট্রে ২৫২ আমলা-পুলিশের ঘর’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে জানা গেছে, তাদের মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারা অবশ্য দলীয় লোক হিসেবে সরকারের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। ওই টাকা তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেন।

তবে গত ৬-৭ মাস ধরে তারা সুর পাল্টে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন তারা সুবিধাবাদী। তাদের পরিবারের কেউ কেউ রাজাকার বা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ তারা সরকারের ভেতরে দলীয় লোক সেজে খেলছিল। দলের অনেক শীর্ষ নেতাও তাদের মাধ্যমে সুবিধা পেয়েছেন। এখন তাদের আসল রং বেরোচ্ছে। তারা এখন সরকারের বিরুদ্ধে নানা তথ্য ছড়াচ্ছে।

এফবিআই কর্তৃক তদন্ত করা ১৫ জনের মধ্যে একজন সাবেক আমলাও রয়েছেন। স্ত্রীর নামে নিউইয়র্কে বেশ কিছু বাড়ি কিনেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি বাড়িসহ তার বিভিন্ন সম্পদ রয়েছে। এফবিআই তার সমস্ত সম্পদের তদন্ত করছে। এফবিআই বর্তমানে চুক্তির অধীনে থাকা একজন কর্মকর্তার একাধিক বাড়িতে তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

যদিও ওই কর্মকর্তা দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনো সম্পদ নেই, যা তার ছেলে ও স্ত্রীর আছে। বড় চাকরি আছে এবং তাদের সম্পদ থাকতে পারে। তবে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে যে এফবিআই ব্যাপক তদন্ত চালাচ্ছে। এছাড়া ১৫ জনের তালিকায় বর্তমান ও সাবেক দুই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা রয়েছেন।

সূত্র জানায়, এফবিআই তদন্তের ৩টি ধাপ রয়েছে। প্রথম ধাপে, তারা দেখতে পাবে যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে সম্পদ কিনেছে তা বৈধভাবে অর্জিত হয়েছে কিনা; বা কিভাবে তারা এই সম্পদের মালিক হয়েছে. এমনকি তাদের আত্মীয়রা যখন এসব সম্পদের মালিক তখন তাদের আর্থিক অবস্থা কী ছিল।

দ্বিতীয়ত, তারা যদি দেখে যে এটা বৈধ উপায়ে করা হয়েছে, তাহলে তদন্ত সেখানেই শেষ হবে। কিন্তু যদি দেখা যায় যে তা অবৈধভাবে বা বিদেশ থেকে টাকা এনে তা করা হয়েছে, তাহলে এসব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।

মার্কেট আওয়ার/তারিকুল

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর