ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হতে যাচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল

২০২৩ অক্টোবর ০৭ ১০:০৬:৩৫
অর্থনীতির গেম চেঞ্জার হতে যাচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল

বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যথাযথ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন, বৃহৎ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারসহ বিদেশি পর্যটক টানার মতো নানা দর্শনীয় স্থান দেশজুড়ে। কিন্তু যোগাযোগসহ নানা দুর্বলতায় বিদেশি পর্যটক তেমন আসেন না। নতুন টার্মিনালে আধুনিক সেবা দূর করবে বিদেশিদের আক্ষেপ এমনটিই প্রত্যাশা করছে কতৃপক্ষ।

শনিবার (০৭ অক্টোবর) উদ্বোধন হবে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, যার আয়তন প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। যাত্রী পরিবহণ সক্ষমতা বছরে সোয়া কোটি। সব মিলিয়ে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরের আয়তন হবে সোয়া তিন লাখ বর্গমিটার। পরিকল্পনা আছে রানওয়ে বাড়ানোরও।

গবেষণা সংস্থা সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তৃতীয় টার্মিনালটাকে যদি আমাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে আমাদের সেবার মানটাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। কেবল অবকাঠামোর মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করলে হবে না। কারণ, যারা আসবেন তারা কিন্তু সেই সার্ভিসটা পেতে চাইবেন।’

তিনি বলেন, এই টার্মিনাল চালুর পর বাড়বে ফ্লাইট সংখ্যা ও কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা। আমদানি কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বছরে ৮৪ হাজার টন থেকে বেড়ে হবে পৌনে ৩ লাখ টনে। পাশাপাশি রপ্তানি কার্গো হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা বছরে ২ লাখ টন থেকে বেড়ে দাঁড়াবে সাড়ে ৫ লাখ টনে।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় একনেক। শুরুতে এর নির্মাণব্যয় ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা টাকা ধরা হলেও পরে তা আরও ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়। এতে প্রকল্পের আকার দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকায়। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে।

প্রকল্পটির নির্মাণব্যয়ের বড় জোগান দিচ্ছে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা। সংস্থাটি ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আর বাকি ৫ হাজার ২৫৮ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। টার্মিনালের মূল ভবনের আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। জাপানি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিমুজি আর কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান স্যামসাং যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বর্তমানে শাহজালালে যে দুটি টার্মিনাল আছে, সেগুলো বছরে প্রায় ৭০ লাখ যাত্রীকে সেবা দিতে পারে। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে এ বছরে প্রায় ২ কোটি যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। তৃতীয় টার্মিনালের অ্যাপ্রোন বা পার্কিংয়ে এক সাথে ৩৭টি উড়োজাহাজ রাখার ব্যবস্থা থাকবে। যুক্ত হবে নতুন ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১১টি বডি স্ক্যানার আর ১৬টি লাগেজ বেল্ট। এ ছাড়া থাকবে স্বয়ংক্রিয় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনা। গাড়ি পার্কিংয়ে রাখা যাবে এক সাথে প্রায় ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি।

মার্কেট আওয়ার/তারিকুল

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর