ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

দ্বিতীয় বিয়ে করে যেভাবে ফেঁসেছিলেন উদিত নারায়ণ

২০২৩ অক্টোবর ০৫ ১৭:৩৭:৪৫
দ্বিতীয় বিয়ে করে যেভাবে ফেঁসেছিলেন উদিত নারায়ণ

উদিতের জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ ডিসেম্বর। তার বাবা হরেকৃষ্ণ ঝা ছিলেন কৃষক। মা ভুবনেশ্বরী লোকগান গাইতেন। কিন্তু উদিতের জন্মস্থান নিয়ে বিতর্ক আছে। কারণ তার বাবা নেপালের নাগরিক। মা বিহারের মেয়ে। উদিতের দাবি, তার জন্ম বিহারের সুপাউল জেলার বৈশী গ্রামে, মামাবাড়িতে। ২০০৯ সালে তাকে যখন ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার দেয়া হয়, তখন তার জন্মস্থান ও নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। অনেকে দাবি করেন, গায়কের জন্মস্থান নেপাল।

কিংবদন্তি এই শিল্পীর পড়াশোনা বিহারের স্কুলে। তারপর নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত রত্ন রাজ্য লক্ষ্মী ক্যাম্পাস কলেজ থেকে ইন্টারমিটিয়েড পাস করেন। ১৯৭০ সালে তিনি প্রথম গান করেন রেডিও নেপালে। তখন তিনি নেপালি ও মৈথিলি ভাষার লোকগান গাইতেন।

আট বছর নেপালি ভাষায় গানের পরে ভারতীয় দূতাবাসের দেয়া স্কলারশিপ নিয়ে তিনি মুম্বাই আসেন ধ্রুপদী সংগীতের পাঠ নিতে। ১৯৮০ সালে তাকে সুযোগ দেন সংগীত পরিচালক রাজেশ রোশন। তার ‘উনিশ বিশ’ ছবিতে গান গাওয়ার জন্য। এরপর কেরিয়ারের শুরুতেই ডুয়েট লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রাফি, কিশোর কুমারের মতো শিল্পীদের সঙ্গে।

১৯৮৮ সালে‌ আনন্দ মিলিন্দ উদিতকে সুযোগ দেন আমির খান ও জুহি চাওলা অভিনীত ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবিতে। সেখানেই শুরু ইতিহাস। তারপর ‘যো জিতা ওহি সিকন্দর’ ছবিতে অলকা ইয়াগনিকের সঙ্গে ‘পেহলা নাশা’ সুপারহিট।

ভালোভাবে ক্যারিয়ার মজবুত হওয়ার আগেই ১৯৮৫ সালে দীপা ঝা-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন উদিত নারায়ণ। দীপাও নেপাল থেকে বলিউডে এসেছিলেন ভাগ্যান্বেষণে। ১৯৮৬ সালে জন্ম ছেলে আদিত্যর। বাবার মতো আদিত্যও সংগীতশিল্পী। তবে উপস্থাপনায় তার বেশি খ্যাতি।

সংসার ও ক্যারিয়ার, দুদিকের পালেই যখন উন্নতির অনুকূল বাতাস, ঠিক তখনই ঝড় আসে উদিতের জীবনে। ২০০৬ সালে নেপালের আরেক নারী রঞ্জনা ঝা দাবি করেন, উদিত তার স্বামী! প্রথমে অস্বীকার করেন উদিত। এরপর রঞ্জনা প্রকাশ্যে আনেন বেশ কিছু ছবি ও নথি। তারপর আর উদিতের অস্বীকার করার উপায় ছিল না। জানা যায়, ১৯৮৪ সালে রঞ্জনাকে বিয়ে করেন উদিত। কিন্তু তারপর বলিউডে এসে সম্পূর্ণ ভুলে যান প্রথম স্ত্রীকে। তাকে ডিভোর্স না দিয়েই বিয়ে করেন দীপাকে। অভিযোগ, মুখ খুললেই তিনি আত্মহত্যার করবেন, রঞ্জনাকে এরকম হুমকিও দিতেন উদিত।

২০০৬ সালে রঞ্জনা সব গোপন কথা ফাঁস করে দেয়ায় ব্যাহত হয় উদিতের ক্যারিয়ারও। তবে রঞ্জনা দাবি করেন, তার অর্থ চাই না। চান স্ত্রী হিসেবে সম্মান ও স্বীকৃতি। পরে রঞ্জনার সঙ্গে সব মিটমাট করে নেন উদিত। তার দ্বিতীয় স্ত্রী দীপাও জানান, তিনি সব জেনেই বিয়ে করেছেন। উদিতের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নেন প্রথম স্ত্রী রঞ্জনা। শোনা যায়, এখন বলিউড গায়কের দুই স্ত্রীর মধ্যেই সম্পর্ক বেশ ভালো। রঞ্জনা-দীপা, একসঙ্গে শপিংয়ে তো যানই, এমনকি ছোটখাটো ছুটির অবসরেও উদিতকে দেখা যায় তার দুই স্ত্রীর সঙ্গে। বলিউডে সুখী দম্পতি হিসেবেই পরিচিত তারা।

মার্কেট আওয়ার/তারিকুল

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

বিনোদন এর সর্বশেষ খবর

বিনোদন - এর সব খবর