যাত্রীদের ওপর বমি করে ছিনতাই করতো তারা

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বমি করে অভিনব উপায়ে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। তারা সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য।

সাগর এই দলের প্রধান জানিয়ে মোহাম্মদ মহসীন বলেন, এই দলে ৭ সদস্য রয়েছে। তারা তিন ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে। প্রথমে তারা কোনও একটি বাসে ওঠে। একজনকে টার্গেট করে তার শরীরে বমি করে দেয়। তখন দুই-তিন সদস্য সেখানে হইচই শুরু করে জটলা তৈরি করে। সুযোগ বুঝে দুই সদস্য ভিড়ের মধ্যে থাকা মানুষের মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে বাইরে অপেক্ষমাণ বাকি সদস্যকে দিয়ে দেয়। এরপর সবাই পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, কাজের সুবিধার্থে তাদের নিজস্ব সাংকেতিক ভাষা আছে। তারা টার্গেট করা ব্যক্তিকে মামা নামে ডাকে। পুলিশকে ডাকে লাতা নামে। এ ছাড়া দলনেতাকে মিস্ত্রি, সহযোগীকে তালবাজ কিংবা ঠেকো, গাড়িকে চাক্কা বলে। তারা নিজেদের গ্রুপের নাম দিয়েছে সেভেন স্টার। দলের ৭ সদস্য সাত পৃথক জেলার বাসিন্দা।

তিনি আরও বলেন, তারা তিন বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করলেও কেউই কারও বাসা চেনে না। ছিনতাই করা টাকা তারা তিন ভাগ করে নেয়। এক ভাগ দলনেতা, এক ভাগ তাদের মামলা মোকাবিলার জন্য এবং এক ভাগ বাকি সদস্যদের। তাদের কেউ একজন গ্রেফতার হলে বাকি সদস্যরা জামিন করায়। গ্রেফতার সাগরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬টি এবং ওয়াসিমের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

মার্কেট আওয়ার/তারিকুল