বাংলাদেশ নিয়ে যা হলো ইইউ পার্লামেন্টে

প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকার কর্মী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য নিরাপদ ও অনুকূল কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।

প্রস্তাবে বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, সরকারকে অবশ্যই ২০২৪ সালের অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এতে বলা হয়েছে যে পরিস্থিতি মানবাধিকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শ্রমিকদের অধিকারসহ বাংলাদেশের মারাত্মক অবনতি হয়েছে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের রেজুলেশন সরকারকে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে মানবাধিকার গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার এবং সংস্থার নিবন্ধন পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে। সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো যাতে অনুমোদিত বিদেশী অনুদান ব্যবহার করতে পারে তা নিশ্চিত করতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

প্রস্তাবে বলপূর্বক অন্তর্ধানের অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের আদালতের শুনানিতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্য রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে উৎসাহিত করা হয়েছে।

পার্লামেন্টের সদস্যরা তাদের প্রস্তাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরতে ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস, ইইউ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর দূতাবাসকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

মার্কেট আওয়ার/তারিকুল