ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

ছাত্রলীগ সভাপতির জন্য আনা ফুল ফেলে দিলেন ঢাবির নেতারা

২০২৩ সেপ্টেম্বর ১০ ১৮:৩৯:৩৯
ছাত্রলীগ সভাপতির জন্য আনা ফুল ফেলে দিলেন ঢাবির নেতারা

মোবাইল ফোনে তোলা ছবি দেখে দুর্জয় পাল এই ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করেছেন। তারা হলেন- ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার নিরব এবং বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মেহেদী হাসান নিরব।

জানা গেছে, শাহরিয়ার এবং মেহেদী দুজনই ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়নের অনুসারী। বেশ কয়েকদিন ধরেই ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার মনোমালিন্য চলছে। এর মাঝেই আজ এ ঘটনা ঘটল।

এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দুর্জয় পাল গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৩১ জুলাই আমাদের কমিটি হয়। এরপর থেকে নানা ব্যস্ততার কারণে আমরা সাদ্দাম ভাইকে ফুল দিতে পারিনি। শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আমরা ঢাবি ক্যাম্পাসে ফুল দিতে যাই। তখন আমাদের সামনে একদল মহিলা শিক্ষার্থী এসে জিজ্ঞেস করল আমরা কোন ইউনিটে আছি। পরে মেয়েরা ইউনিটের নাম বললে তাদের বলা হয়, এখান থেকে চলে যাও। তাদের বলি সাদ্দাম ভাইয়ের সঙ্গে একটু শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসছি। তখন তারা আমাকে বলে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো শুভেচ্ছা বিনিময় হবে না। এটা করতে চাইলে পার্টি অফিসে যান, না হয় সাদ্দাম ভাইয়ের বাসায় যান। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাতে থাকা ফুল দিয়ে বানানো নৌকা এবং দুইটা ফুলের তোড়া কেড়ে নিয়ে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে।

এরপর তারা উচ্চস্বরে বলে- এখানে কোনো ফুল দেওয়া হবে না। আপনারা তাড়াতাড়ি চলে যান। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা পেছন দিকে হাঁটা শুরু করি। এরপর তারা আমাদের বাইকে করে অনুসরণ করছিল। আর পেছন থেকে বারবার বলছিল, ‘দ্রুত যান’, ‘দ্রুত আগান’। পরে আমরা শহীদ মিনারের সামনে গেলে সাদ্দাম ভাইয়ের গাড়ি দেখতে পাই এবং ভাইয়ের সঙ্গে নতুন একটা ফুল এনে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। পরে ভাইকে ঘটনাটি জানালে তিনি ‘দেখবেন’ বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এরপর আমরা চলে আসি।

অভিযুক্ত মেহেদী হাসান নিরব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি অসুস্থ। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে আসার সময় দেখি টিএসসিতে কারা যেন ঝামেলা করছিল। সেটা দেখতেই মূলত আমি গিয়েছিলাম। তখনই হয়ত তারা আমাকে দেখেছে এবং মনে করেছে আমি ঘটনায় জড়িত। যেহেতু ক্যাম্পাসে আমি ছাত্র রাজনীতি করি সেহেতু ক্যাম্পাসের সব বিষয়ে আমার তো খোঁজ খবর রাখতে হয়। সেটা দেখতে গিয়ে দেখি, একদল শহীদ মিনারের দিকে যাচ্ছে আরেকদল পেছন থেকে বাইকে হর্ন দিচ্ছে। পরে টিএসসি এসে দেখি, কিছু ফুলের তোড়া ছড়ানো ছিটানো। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। যদি কেউ আমার নাম বলে, তাহলে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।

শাহরিয়ার নিরব বলেন, আমি দুদিন ধরে বাসায়। ক্যাম্পাসেও যাইনি আজকে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। ওনাকে আবার ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন। তবে নিরবের এক বন্ধু জানিয়েছেন, আজকে তারা এক সঙ্গে টিএসসিতে ছিলেন। পরে কবি জসিমউদ্দীন হলে অনুষ্ঠিত এক কর্মসূচিতেও তাকে দেখা গেছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবীর শয়ন গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। জেনে আমরা ব্যবস্থা নেব।

মার্কেট আওয়ার/তারিকুল

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর