এসএমই মার্কেটে বিনিয়োগ নিয়ে বিএসইসির আবেদন শোনেনি আদালত

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিএসইসির আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন চেম্বার আদালত। আগামী ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বিএসইসির করা আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার ‘নো অর্ডার’ দিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

বিএসইসির আবেদন নাকচ হওয়ার ফলে এসএমই বোর্ডে লেনদেনে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন বিনিয়োগারীদের পক্ষের আইনজীবী মোস্তফা কামাল।

এর আগে গত ১৩ নভেম্বর শেয়ারবাজারে এসএমই মার্কেটে লেনদেনের জন্য কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার শর্ত দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

একই সঙ্গে এ ধরনের সিদ্ধান্তকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।

হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিলে আবেদন করে বিএসইসি। আদালতে বিএসইসির পক্ষে শুনানি করেন এ এম মাসুম। আর রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তফা কামাল।

বিএসইসির আইনজীবী এ এম মাসুম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে যেহেতু বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সে কারণে ফুল বেঞ্চে শুনবেন। এ জন্য আবেদনটি ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের কার্যতালিকার শীর্ষে থাকবে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর লেনদেনের জন্য এসএমই প্ল্যাটফর্ম চালু হয়। সেদিন প্রাথমিকভাবে ছয়টি কোম্পানি নিয়ে ডিএসইর এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেন চালু করা হয়। বর্তমানে এসএমইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ১৫টি। এর মধ্যে ১৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার নিয়মিত লেনদেন হচ্ছে।

প্রথমে এক কোটি, পরে ৫০ লাখ, এরপর ২০ লাখ এবং সবশেষ ৩০ লাখ- শেয়ারবাজারে কত টাকা বিনিয়োগ থাকলে এসএমই বোর্ডের শেয়ার কেনা যাবে, এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত আসে।

সবশেষ গত ২২ সেপ্টেম্বর সিদ্ধান্ত আসে, এসএমইতে লেনদেনে যোগ্য বিনিয়োগকারীর হতে শেয়ারবাজারে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।

এএসএম/