পতনের ধাক্কায় এলোমেলো শেয়ারবাজার

আজ লেনদেনের প্রথম ভাগে মোটামুটি মিশ্র প্রবণতা বিরাজ করে। কিন্তু লেনদেনের শেষভাগে হঠাৎ বাজারে সেল প্রেসার শুরু হয়। এই সময়ে কেনার চেয়ে বেচার চাপ বেশি পরিলক্ষিত হয়। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। শুরু হয় তাদেরও সেল প্রেসার। এতে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচক ধারাবাহিক পতনেই থাকে। তবে অস্বাভাবিক এই পতনের পেছনে কোনো কারণ বলতে পারেননি বাজার সংশ্লিষ্টরা।

আজ বাজারের সব সূচক কমেছে। এদিন যে পরিমাণ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে তার সাড়ে তিনগুনের দর কমেছে। তবে সব সূচক কমলেও লেনদেনে সামান্য উন্নতি হয়েছে।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ ১৮.৫৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৯৬.৯৯ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.০৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬.০৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৬৯.০৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৪২.৭৭ পয়েন্টে।

আজ ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার। যা আগের দিন থেকে ৩৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৮৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩২৪টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৭টির বা ১১.৪২ শতাংশের। এছাড়া দর কমেছে ১৩২টির বা ৪০.৭৪ শতাংশের এবং শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৫টির বা ৪৭.৮৪ শতাংশের।

দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৯.৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬২২.৯৪ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলো মধ্যে সিএসসিএক্স ২৩.৩৪ পয়েন্ট, সিএসই-৫০ সূচক ০.৭৫ পয়েন্ট এবং সিএসআই ২.০১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ১৩৩.০৬ পয়েন্টে, এক হাজার ৩০৯.৯০ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭০.৩৬ পয়েন্টে। তবে সিএসই-৩০ সূচক ৩.৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৬৩.৩৯ পয়েন্টে।

সিএসইতে আজ ১৫৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২০টির, কমেছে ৮৮টির এবং ৫০টি কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে। আজ সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মার্কেট আওয়ার/মামুন