ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

বছরের বাকি সময় পোশাক ব্যবসার জন্য ভালো যাবে না: বিজেএমই সভাপতি

২০২৩ আগস্ট ০৭ ১৬:৫৭:১৪
বছরের বাকি সময় পোশাক ব্যবসার জন্য ভালো যাবে না: বিজেএমই সভাপতি

বিজিএমইএ সদস্যদের জন্য প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ২০২৩ সালের বাকি সময়ে বিশ্বে পোশাক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে কমবে।

তিনি বলেন, গত মাসগুলোর পারফরম্যান্স রিপোর্টে দেখা গেছে- পোশাক রপ্তানির প্রধান বাজারগুলোয় ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমেছে। অর্থাৎ গত কয়েক মাসে পোশাক রপ্তানিতে মন্দা দেখা দিয়েছে।

গত জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৈরি পোশাক আমদানি যথাক্রমে ২২.৯২ শতাংশ ও ৮.৮৪ শতাংশ কমেছে।

বিজিএমইএ সভাপতি সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বলেন, 'বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খুচরা ও সামগ্রিক বাণিজ্যে হতাশাজনক দৃশ্য ফুটে উঠেছে। এর মানে দাঁড়ায়—চাহিদা ও অর্ডারে মন্দা এ বছরের বাকি সময়ে অব্যাহত থাকতে পারে।'

ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউটিও) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বব্যাপী পোশাক বাণিজ্য ৭.২৬ শতাংশ বেড়ে ৫৭৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। ২০২১ সালে এটি ছিল ৫৩৭ বিলিয়ন ডলার।

চীনের পর বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২১ সালের ৬.৩৭ শতাংশ (ডব্লিউটিও ৬. ৪০ শতাংশ) থেকে ২০২২ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি ৭.৮৭ শতাংশে উন্নীত হয়। বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, এটি ৭.৯০ শতাংশ।

২০১৬ সাল থেকে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে বাংলাদেশের শেয়ার ৬ শতাংশের বেশি। গত বছর প্রথমবারের মতো এই শেয়ার ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩৪.২০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩২.৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫.৩৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।

এদিকে, বিশ্বে চীনের পোশাক রপ্তানি ১৭৬.০৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩.৬০ শতাংশ বেড়ে ১৮২.৪২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তবে বৈশ্বিক বাণিজ্যে চীনের অংশ ২০২১ সালের ৩২.৭৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে ৩১.৬৭ শতাংশ হয়েছে।

৬.১২ শতাংশ শেয়ার নিয়ে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসাবে আছে ভিয়েতনাম। ৩.৪৬ শতাংশ শেয়ার নিয়ে তুরস্ক আছে চতুর্থ অবস্থানে।

২০২২ সালে বিশ্বে ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানি ১৩.০৫ শতাংশ বেড়ে ৩৫.২৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালে এটি ছিল ৩১.২০ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বে তুরস্কের পোশাক রপ্তানি ২০২১ সালের ১৮.৭৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২২ সালে ১৯.৯১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এর অর্থ দেশটির রপ্তানি ৬.২৭ শতাংশ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানির পরিমাণের মধ্যে ফারাক আরও বাড়ছে।

তিনি জানান, ইউরোপ বিশ্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পোশাক আমদানিকারক মহাদেশ।

গত ৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানির মূল্য ৯.৪২ শতাংশ বেড়েছে। সারাবিশ্ব থেকে ইইউয়ের আমদানি গড়ে বার্ষিক ৪.৩১ শতাংশ বেড়েছে।

২০২২ সালে সারাবিশ্ব থেকে ইইউয়ের পোশাক আমদানি আগের বছরের তুলনায় ২০.৯৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে এই জোটের পোশাক আমদানি ৮৫.২৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ১০৩.০৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। এটি ২০১৮ সালে ছিল ৯০.৫৩ বিলিয়ন ডলার।

তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে ইইউ বাংলাদেশ থেকে ২২.৮৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। ২০২১ সালে এটি ছিল ১৬.৮৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে ছিল ১৬.৪৪ বিলিয়ন ডলার।

মার্কেট আওয়ার/তোফায়েল

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর