ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে টাকার প্রবাহ কমাতে হবে : আইএমএফ

২০২২ নভেম্বর ২২ ০৬:৫২:০৩
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে টাকার প্রবাহ কমাতে হবে : আইএমএফ

আইএমএফ মনে করে, বৈশ্বিক সংকটের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো মুদ্রানীতি ব্যবহার করছে। এ নীতি ব্যবহার করে ইতোমধ্যে তারা সুফলও পাচ্ছে। বাংলাদেশও এ নীতি ব্যবহার করে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

আইএমএফ বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতি ব্যবহার করার শর্ত আরোপ করেছে। ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর আইএমএফ মিশন বাংলাদেশ সফরের সময় এ শর্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এর আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ শর্ত বাস্তবায়নে সম্মতও হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। এ ধরনের মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাজারে টাকার প্রবাহে লাগাম টেনে চাহিদা কমিয়ে ফেলা।

সংকোচনমুখী মুদ্রানীতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়, পণ্যের চাহিদা কমে যায়। ফলে মূল্যস্ফীতির হারও কমে যায়। এর আরেকটি অংশ হচ্ছে সুদের হার বাড়িয়ে মুদ্রাকে ব্যয়বহুল করে তোলা। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলো এ নীতি গ্রহণ করেছে।

আইএমএফ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থের প্রবাহ কমাতে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিনির্ধারণী সুদের হার কয়েক দফা বাড়িয়েছে। যদিও এখনো নিয়ন্ত্রণ আসেনি মূল্যস্ফীতির হার।

তবে অর্থনীতিবিদরা আইএমএফ’র পরামর্শের সঙ্গে একমত নন। তাঁদের মতে, ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোয় মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও বাংলাদেশে এটি সম্ভব নয় বলে মনে করেন তাদের মতে, এ দেশে মুদ্রানীতির উপকরণগুলো ঠিকমতো কাজ করে না। মুদ্রানীতির চেয়ে এখানে বাজারের প্রভাব বেশি। মুদ্রানীতি ব্যবহার করলে খুব বেশি সুফল মিলবে না। কারণ সংকোচনমুখী মুদ্রানীতির চালুর তিন মাসেও ঋণ প্রবাহে নিয়ন্ত্রণ আসেনি। সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই ঋণের প্রবাহ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। গত অক্টোবর পর্যন্ত দুই খাতেই ঋণের প্রবাহ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি খাতে ৩২.৩০ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে ১৩.৬০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মুদ্রার সরবরাহ কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত অর্থবছরে এসব লক্ষ্যমাত্রা আরও বেশি ছিল।

এএসএম/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর