ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

বিএসইসির পর্যবেক্ষণে খান ব্রাদার্স শেয়ার

২০২৩ জুলাই ১৬ ২২:৪৩:২৪
বিএসইসির পর্যবেক্ষণে খান ব্রাদার্স শেয়ার

শেয়ারটির নাম খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ। সহযোগি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য সাব কন্ট্রাক্টের কাজ করে কোনো রকমে চলছে-এমন খোলামেলা বক্তব্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষের। তারপরও কোম্পানিটির শেয়ার দরে যেন আগুন লেগেছে। একটি বড় কারসাজি চক্রের দৌরাত্বে শেয়ারটির আচমকা এমন বেপরোয়া গতি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, শেয়ারটির অস্বাভাবিক আচরণ তাঁদেরও নজরে এসেছে। তাই শেয়ারটির গতিবিধি তাঁরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

গত ১৪ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সা। তারপর থেকে উত্থান ইতিহাস। তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের ব্যবধানে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ২২ টাকা ৩০ পয়সা বা ২২৫ শতাংশের বেশি। শেয়ারটির এমন অস্বাভাবিক উত্থানের কারণ জানতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বারবার কোম্পানির কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছে। কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ বারবারই ডিএসইকে জানিয়েছে, অস্বাভাবিক এই দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ তাদের জানা নেই।

এ বিষয়ে কোম্পানি সচিব তপন কুমার সরকার বলেন, শেয়ারটির অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনে কোনো কারণ তাদের জানা নেই। তিনি বলেন, করোনা মহামারির সময়ে কোম্পানিটির ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সময়ে বিদেশী ক্রেতাদের কাছ থেকে কোনো অর্ডার না পাওয়ায় কোম্পানিটির উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এরপর খান ব্রাদার্স গ্রুপের অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য সাব কন্ট্রাক্টের কাজ করে কোনো রকমে তারা চলছে।

এ বিষয়ে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, খান ব্রাদার্সের শেয়ারের লেনদেন ও দাম অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। তাই কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বিএসইসি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি জানান, কোনো কোম্পানির শেয়ার দাম কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের সাথে অসামঞ্জস্য হলে তা তদন্ত করার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএসইসির মূখপাত্র আরও বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা খান ব্রাদার্স শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন ও দাম বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। শেয়ারটির সাম্প্রতিককালের লেনদেন ও দর বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার ওপরও নজর রাখছে কমিশন। কারসাজি হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২২-মার্চ’২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ০৩ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১৬ পয়সা।

সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ২০২১ সালে কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। তার আগের বছর ২০২০ সালে ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। তার আগের বছর ২০১৯ সালে কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি। তারও আগের বছর ২০১৮ সালে ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

মার্কেট আওয়ার/মামুন

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর