ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

মহরম সিকিউরিটিজের অর্থ আত্মসাৎ তদন্তে কমিটি গঠন

২০২৩ জুলাই ১২ ১৮:১০:০৪
মহরম সিকিউরিটিজের অর্থ আত্মসাৎ তদন্তে কমিটি গঠন

বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন, উপ-পরিচালক মোঃ আবদুস সেলিম, সহকারী পরিচালক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম সাদ্দাম এবং সিএসইর সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ বাশারের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

মহরম সিকিউরিটিজ হল সিএসইসির চারটি ব্রোকারের মধ্যে একটি যেটি গ্রাহকদের হিসাবে প্রায় ৫০ কোটি টাকার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে৷ বাকি তিনটি হলো সিলেট মেট্রো সিটি, ট্রেন্ডসেট সিকিউরিটিজ এবং ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ।

ব্রোকারেজ হাউজগুলি গ্রাহকদের নগদ অর্থ ও সিকিউরিটি বিক্রি করে গোপনে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। সিএসই এখন ব্রোকারেজ হাউজগুলোর লাইসেন্স ও সম্পদ বিক্রি করে গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধ করার চেষ্টা করছে।

সিএসই সূত্রে জানা যায়, ট্রেন্ডসেট সিকিউরিটিজের লাইসেন্স বিক্রি করে গ্রাহকদের ৩০ শতাংশ বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। ফার্স্টলিড সিকিউরিটিজ এবং মহরম সিকিউরিটিজ পাইপলাইনে রয়েছে।

তবে মালিকপক্ষের দায়ের করা রিটের কারণে সিলেট মেট্রো সিটির লাইসেন্স ও সম্পদ বিক্রি করা যাচ্ছে না।

আরেকটি সিএসই ব্রোকার - সিলনেট সিকিউরিটিজ - একই ধরনের অর্থ আত্মসাতের কারণে ২০২২ সাল থেকে ট্রেডিং সাসপেনশনে রয়েছে। সিএসই ব্রোকারেজ হাউজটির গ্রাহকদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের দাবি জমা দিতে বলেছে।

এদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তিনটি ব্রোকারেজ হাউজ - ব্যাঙ্কো সিকিউরিটিজ, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ এবং তমহা সিকিউরিটিজ - তাদের ১০ হাজার ৯০০ জনের বেশি গ্রাহকের কাছ থেকে মোট ১৭৭ কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

গ্রাহকদের প্রায় ৫২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডিএসই তমহা সিকিউরিটিজ, ৩৬ কোটি ৫২ লাখ কোটি টাকা ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ এবং ৮৭ কোটি ৫৬ কোটি টাকা ব্যাঙ্কো সিকিউরিটিজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

মার্কেট আওয়ার/মোর্শেদ

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর