ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ রিটার্ন দিয়েছে জীবন বিমার শেয়ার

২০২৩ জুলাই ০৮ ১২:৫১:৩৬
বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ রিটার্ন দিয়েছে জীবন বিমার শেয়ার

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ ২৩.২০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে জীবন বিমার শেয়ার। অপরদিকে, বছরের প্রথম ৬ মাসে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে চার খাতের শেয়ার। খাতগুলো হলো- আর্থিক, সিরামিকস, ওষুধ ও রসায়ন এবং মিউচুয়াল ফান্ড। এই চার খাতের বিনিয়োগকারীরা বছরের প্রথম ৬ মাসে কোনো রিটার্ন পায়নি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ রিটার্ন দেয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। এখাতের বিনিয়োগকারীরা ১৬.৭০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাত। এখাতের বিনিয়োগকারীরা রিটার্ন পেয়েছে ১৫.৫০ শতাংশ।

বছরের প্রথমার্ধে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের বিনিয়োগকারীরা রিটার্ন পেয়েছে ১১.৪০ শতাংশ। সাধারণ বিমা রিটার্ন দিয়েছে ৯.৩০ শতাংশ। আইটি খাতের বিনিয়োগকারীরা ৯.২০ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে। চামড়া খাতের বিনিয়োগকারীদের রিটার্নের পরিমাণ ছিল ৯.১০ শতাংশ।

এছাড়া, সেবা ও আবাসন খাতের বিনিয়োগকারীরা রিটার্ন পেয়েছে ৬.৮ শতাংশ, ব্যাংক খাত ৬.৩০ শতাংশ, টেলিকমিউনেকশন খাত ৫.৮০ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিং খাত ৫.৭০ শতাংশ এবং বিবিধ খাত ৫.১০ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহের ফ্ল্যাশব্যাক

গেল সপ্তাহের শুরুতে জীবন বিমার শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ দেখা যায়। যার ফলে সপ্তাহের শুরুতেই শেয়ারবাজার হোঁছট খায়। দেখা দেয় সূচকের ধারাবাহিক পতন। তবে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) বিমা খাতের শেয়ার ঘুরে দাঁড়ায়। বিশেষ করে এদিন জীবন বিমার শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়তে দেখা যায়। যার ফরে শেষ কর্মদিবসে বড় পতন থেকে রক্ষা পায় উভয় শেয়ারবাজার।

শেষ কর্মদিবসে বস্ত্র, ওষুধ ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারের দর সংশোধন হওয়ায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট।

তবে শেষ কর্মদিবসে সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন। আরেকটি পজিটিভ খবর হলো, ঈদ পরবর্তী শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বৃহস্পতিবার। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৯৯ কোটি টাকা। আর সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি টাকা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শেষ কর্মদিবসে বিমা খাতের ৫৭টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১টির। আর বাকি সব কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত ছিল। সব মিলে বিমা খাত সূচক বৃদ্ধিতে ৩৫ শতাংশ অবদান রেখেছে। যার ফলে সূচক বড় পতন থেকে রক্ষা পায়।

বছরের প্রথম ৬ মাসের ফ্ল্যাশব্যাক

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত এপ্রিলের আগ পর্যন্ত ডিএসইর লেনদেন ২০০ কোটি টাকার নিচে নামতে দেখা যায়। ০১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ডিএসইর লেনদেন ছিল ১৭৮ কোটি টাকার কাছাকাছি। এপ্রিলের পর জীবন বিমার শেয়ারে যখন ঝলক দেখা যায়, তখন শেয়ারবাজারের লেনদেনেও গতি দেখা যায়। দীর্ঘদিন লেনদেনের তলানিতে থাকা শেয়ারবাজারে গতি ফিরিয়ে আনে জীবন বিমার শেয়ার। এই সময়ে খাতটির মাত্র ১৫টি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত ৪১১টি প্রতিষ্ঠানকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুন মাসের শেষে জুলাই মাসের শুরুতে জীবন বিমার শেয়ারে সংশোধন দেখা যায়। তবে গেল সপ্তাহের শেষদিকে জীবন বিমা খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ফের বাড়তে দেখা গেছে। ফলে খাতটির লেনদেন ও শেয়ার দরে ফের চাঙ্গাভাবের আভাস মিলেছে।

মার্কেট আওয়ার/মামুন

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর