ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

১০ কোম্পানির দখলে শেয়ারবাজারের ২৫ ভাগ লেনদেন

২০২৩ জুলাই ০৮ ১২:৩২:০০
১০ কোম্পানির দখলে শেয়ারবাজারের ২৫ ভাগ লেনদেন

ডিএসই সূত্র বলছে, গেল সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯৫৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ২১.২০ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫৯১ কোটি ৬৯ লাখ

গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯০টির, দর কমেছে ২৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৫টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১২টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সূচকের উত্থান হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স ১৫.৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৩৩৪.৭৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ৩.৭২ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ১৯১.৪৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৭৫.২৬ পয়েন্টে।

এদিকে গেল সপ্তাহশেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৪.৩১ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহেশেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪.৩৫ পয়েন্ট ছিল। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারবাজারে কোনো কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪.৩১ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসাবে শেয়ারবাজার বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গেল সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৫০ শতাংশ এবং বি ক্যাটাগরির ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। মোট লেনদেনের ২৪.৫৭ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বি ক্যাটাগরির ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ারে। কোম্পানিটি একাই মোট শেয়ারের ৫.৮১ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া খান ব্রাদার্সের (বি ক্যাটাগরি) ২.৭৮ শতাংশ, সী পার্ল বিচের ২.৭৪ শতাংশ, রুপালী লাইফের ২.৬৭ শতাংশ, জেএমআই হসপিটালের ২.০৯ শতাংশ, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১.৮২ শতাংশ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ১.৭৫ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের (বি ক্যাটাগরি) ১.৭১ শতাংশ, ফু-ওয়াং সিরামিকসের (বি ক্যাটাগরি) ১.৭০ শতাংশ এবং আলিফের (বি ক্যাটাগরি) ১.৪৯ শতাংশ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারের এ ক্যাটাগরির শেয়ার বি ও জেড ক্যাটাগরির থেকে তুলনামূলক ভালো কোম্পানি। নিয়ম অনুসারে, যেসব কোম্পানি বছরশেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে তার ঊর্ধ্বে ডিভিডেন্ড দেয়, তারাই এ ক্যাটাগরির শেয়ার। যেসব কোম্পানি বছর শেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশের নিচে ডিভিডেন্ড দেয়, তারা বি-ক্যাটাগরির শেয়ার। যেসব কোম্পানি বছরশেষে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয় না, তারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার। এছাড়া এন ক্যাটাগরি নতুন কোম্পানির শেয়ার। যেগুলোর শেয়ারবাজারের লেনদেন শুরু হয়েছে কিন্তু বছর পার হয়নি, সেইগুলো এন ক্যাটাগরিতে রয়েছে।

মার্কেট আওয়ার/মামুন

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর