বিআইএফসি’র ১১৫৭ কোটি টাকা লোপাট

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তদন্ত প্রতিবেদনে বিআইএফসির লোপাটের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
গতবছর বিআইএফসির অনিয়ম উদঘাটনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডেপুটি গভর্নরকে প্রধান করে উচ্চপর্যায়ের বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি প্রায় এক বছর ধরে কাজ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির অনিয়মের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ২৫০ কর্মকর্তা জড়িত বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বিভাগগুলো হচ্ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ, অফসাইট ও অনসাইট সুপারভিশন বিভাগ।
তদন্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), রেজিস্টার অব জয়েনস্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি) ও সংশ্লিষ্ট অডিট কোম্পানিগুলোকেও দায়ী করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিআইএফসির মোট দায় ছিল প্রায় ১৮৩৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে মোট সম্পদ ছিল ৯২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮১৭ কোটি টাকা ঋণ বা লিজ বাবদ বিনিয়োগ করা হয়। যার ৭৮.২৮ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬৪০ কোটি টাকা মেজর মান্নানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে দেওয়া হয়।
এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জনসাধারণ, করপোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে কলমানি, ট্রেজারি লাইন থেকে গৃহীত অর্থের আরও ৫১৭ কোটি টাকা নামে-বেনামে ঋণ আকারে মেজর মান্নানের কাছে গেছে। দুই খাত মিলে ১১৫৭ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিআইএফসি যে ৮৪৭ কোটি টাকা ধার-দেনা করেছে তাও বছরের পর বছর অপরিশোধিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিআইএফসিতে আর্থিক অনিয়ম-জালিয়াতির মূল হোতা পিকে হালদার ও তার সহযোগী মেজর (অব.) মান্নান। গভর্নরের নির্দেশ ছাড়াই ২০১৫ সালের ১১ মার্চ নোট ইস্যু করা হয়।
এতে ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য পর্যালোচনা করে বিআইএফসি ও ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়। যদিও ঋণের গুণগতমান একই রকম হওয়ায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এবং পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের বিষয়েও বিশেষ পরিদর্শন বাঞ্ছনীয় ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠান দুটিতে পরিদর্শন হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনে বিআইএফসির সাবেক এমডি মাহমুদ মালিকের জবানবন্দি তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, মাহমুদ মালিকের সঙ্গে প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের পেশাগত ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। সে সুবাদে পিকে হালদার কৌশলে বিআইএফসির পর্ষদ অধিগ্রহণে একটি কোম্পানি গঠন করেন।
এছাড়া এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট নামের মার্চেন্ট ব্যাংকিং কোম্পানিতে মাহমুদ মালিকের স্ত্রী হাফজা আলম ও পিকে হালদার শেয়ারহোল্ডার ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ স্বাভাবিক কার্যক্রমের বাইরে গিয়ে বিশেষ উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে একটি পরিদর্শন পরিচালনা করেছিল বলে এই তদন্তে উঠে আসে।
এতে দেখা যায়, কয়েক বছর ঋণের গুণগত মান ক্রমাগতভাবে অসন্তোষজনক থাকা সত্ত্বেও তা রোধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, অপরাধ বিবেচনায় সব পরিচালককে অপসারণ করে বিআইএফসিতে প্রশাসক নিয়োগ বা অবসায়ন জরুরি ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন সংশ্লিষ্ট মহাব্যবস্থাপক, নির্বাহী পরিচালক ও ডেপুটি গভর্নর তা করেননি। নামমাত্র পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়ে কালক্ষেপণ করেছেন। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি পিকে হালদারের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। বিশেষ তদন্তে আরও উঠে আসে, শুরু থেকে ২০১৫ সালের পরিদর্শন পর্যন্ত বিআইএফসির পরিচালনা পর্ষদের স্বতন্ত্র পরিচালকরা সবাই ছিলেন মেজর মান্নানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা, কর্মকর্তা।
পরবর্তী সময়ে স্বচ্ছতা ফেরাতে মেজর মান্নানের প্রভাবমুক্ত ২-৩ জন নিরপেক্ষ স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর মাধ্যমে সুকৌশলে পিকে হালদারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে পরিচালক ও স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়ে বিআইএফসির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে যেসব ব্যাংক থেকে আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে সেসব ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও দায়ি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আদায়ে অনিশ্চয়তা জানা সত্ত্বেও দায়িত্বহীনভাবে ব্যাংকগুলো বিআইএফসিতে সাধারণ মানুষের আমানতের টাকা প্রদান করেছে এবং বছরের পর বছর ধরে আদায়ের দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি। এমনকি খেলাপি তথ্য সময়মতো সিআইবিতে রিপোর্টও করেনি।
তদন্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এবং রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজের (আরজেএসসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিআইএফসিতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পর্ষদ গঠনের ক্ষেত্রে অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। প্রকৃত সত্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা আড়াল করে কাল্পনিক লাভ দেখিয়ে ডিভিডেন্ড প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আরজেএসসি এবং বিএসইসি কখনই কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
- মেট্রোরেল বন্ধের হুঁশিয়ারি
- নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নানাকে খুঁজে পেলেন অভিনেত্রী
- আগামী ৩ দিন বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জানাল আবহাওয়া অফিস
- ২০ ফেব্রুয়ারি নাহিদের পদত্যাগ: ২৪ ফেব্রুয়ারি দল ঘোষণা
- জাহিন স্পিনিংয়ের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন
- সূচকের উত্থানে চলছে লেনদেন
- ২ ঘণ্টায় শেয়ারদর বেড়েছে ২২৪ কোম্পানির
- শুরুতেই ৩ কোম্পানির শেয়ারে চমক
- দলে যোগদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন তথ্য উপদেষ্টা
- ২০২৪-এ খেলাপি ঋণ রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাল!
- সামিট পাওয়ারের ক্যাশডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ফের বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম, ইতিহাসে সর্বোচ্চ
- বাংলাদেশের ইন্টারনেট ভবিষ্যৎ বিপন্ন
- চার জেলার এসপি প্রত্যাহার
- ১৮ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট
- খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সময় জানা গেল
- আইএমএফ-এর চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ে বিলম্ব: অর্থ উপদেষ্টা
- বিএসসি’র দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- রবির লভ্যাংশ ঘোষণা
- দ্বিতীয় কর্মদিবসে ৫ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- কৃষিবিদ ফিডের বারবার আইন লঙ্ঘন: বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ
- বিএসইসির নতুন মুখপাত্র নিয়োগ
- ১৭ ফেব্রুয়ারী টাকার পরিমানে টপ ২০ শেয়ার
- আগামীকাল লেনদেনে ফিরবে এক কোম্পানি
- ২ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ মঙ্গলবার
- ‘আমি কারাগারে থাকলেও বিয়ের অনুষ্ঠান যেন করে ফেলে’
- উপদেষ্টা আমার চাচি নন: ডা. তাসনিম জারা
- ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ
- ‘আমি লাউ, কদু দুটিরই বিপক্ষে’: হাসানুল হক ইনু
- খুলনা প্রিন্টিং এবং এসআলম স্টিলের রমরমা লেনদেন
- শেয়ারহোল্ডারদের টাকা নিয়ে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজে বড় অনিয়ম
- লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানাল গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড
- বেক্সিমকো শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সরকারী উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে মার্জিন ঋণের ফাঁদ: বিপদে লাখো বিনিয়োগকারী, আসছে কঠোর ব্যবস্থা
- গ্রামীণফোনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশাল সুখবর
- রেসের ১০টি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট ব্লক মার্কেট ট্রানজাকশনে বাধা নেই
- হঠাৎ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় রবির শেয়ার
- শিবলী রুবাইয়াতের জামিন আবেদন নামঞ্জুর
- ৫ খাতের বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ মুনাফা
- আইসিবি তিন হাজার কোটি টাকা পেল ৪ শতাংশ সুদে
- শেখ হাসিনার আরেকটি অডিও ফাঁস
- জাতীয় পার্টির সঙ্গে খেলতে আসলে পিঠে চামড়া থাকবে না
- মূলধন ফিরেছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা
- ১৯ খাতে শেয়ার দাম বেড়েছে
- ট্রাম্প জয়ের খবরে ঊর্ধ্বমুখী বিশ্ব শেয়ারবাজার
- এসআইবিএল ব্যাংকে ৫৮৯ জনের চাকরিচ্যুতি
- পদত্যাগ করেছেন দুদক চেয়ারম্যান এবং দুই কমিশনার
- অবশেষে উত্থানে ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজর
- পদ্মা ব্যাংকের ঋণ খেলাপি জুলহাস গ্রেপ্তার