ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

সুইস ব্যাংক থেকে বিস্ময়কর গতিতে টাকা সরিয়েছে বাংলাদেশীরা

২০২৩ জুন ২৩ ১৯:৩৬:৫১
সুইস ব্যাংক থেকে বিস্ময়কর গতিতে টাকা সরিয়েছে বাংলাদেশীরা

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালে যেখানে বাংলাদেশি আমানত ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ, পরেরবছর শেষে তা কমে এসেছে মাত্র সাড়ে ৫ কোটি ফ্রাঁ-এ। এক বছরে এতো বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশিরা কী করেছে, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই প্রতিবেদনে।

সারা বিশ্বের ধনীদের অর্থ, গোপনে গচ্ছিত রাখার জন্য বহুদিনের খ্যাতি সুইজারল্যান্ডের। কঠোরভাবে গ্রাহকদের নাম-পরিচয় গোপন রাখে দেশটির সুইস ব্যাংকগুলো। যে কারণে প্রচলিত বিশ্বাস, অবৈধ আয় আর কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকা জমা রাখা হয় সুইস ব্যাংকে।

তবে নির্দিষ্ট গ্রাহকের তথ্য না দিলেও, এক দশক ধরে, বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২২-এর ডিসেম্বরে, সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৫২ লাখ সুইস ফ্রাঁ; প্রতি ফ্রাঁ ১২১ টাকা করে ধরলে, দেশি মুদ্রায় এটি দাঁড়ায় প্রায় ৬৬৮ কোটি টাকায়।

অথচ, ঠিক এক বছর আগে, এ অঙ্ক ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ ফ্রাঁ। অর্থাৎ, এক বছরেই, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। যার অর্থ, ২০২২ সালজুড়ে এই বিপুল অংকের টাকা সুইস ব্যাংক থেকে তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশি আমানতকারীরা।

প্রতিবেদনে এখন পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া যায়, তাতে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২১ সালে। বছর না গড়াতেই যা নেমে এটি এসেছে সর্বনিম্ন অবস্থানে। এক বছরে ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে ৯৪ শতাংশ। প্রায় এক দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে যে আমানত বাড়লো; মাত্র এক বছরেই সেটি এতো কমলো কেন তার ব্যাখ্যা নেই প্রতিবেদনে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকরা এ ব্যপারে বলছেন, সুইজারল্যান্ডে গোপনীয়তা কমতে থাকায়, অনেক ধনী এখন অবৈধ টাকা জমা রাখার জন্য ঝুঁকছেন, লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড কিংবা বারমুডার মতো ট্যাক্স হ্যাভেনের দিকে।

মার্কেট আওয়ার/মোর্শেদ

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর