ব্যাংক কর্মচারীকে বিবস্ত্র করে টাকা দাবি, ৩ জনের কারাদণ্ড

ওয়াহিদুর রহমান রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সোনালী ব্যাংকের শাহবাগ শাখার কর্মচারী আবুল কালাম আজাদকে আসামি মাহবুব খান ফোন করে ব্যাংকের সামনে আসতে বলেন। ব্যাংকের কাজ শেষে সোয়া ৬টায় তিনি সেখানে যান। তখন মাহবুব খানসহ ২/৩ জন তাকে অপহরণ করে রামপুরা ওয়াবদা রোডে একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন। সেখানে তাকে মারধর করে ও বিবস্ত্র করে দুজন নারীর সঙ্গে ছবি তোলা হয়।

পরে ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন আসামিরা। পরিবারের কাছে ফোন করে টাকা চায়। তার কাছ থেকে অফিসের ড্রয়ারের চাবি নিয়ে নেয় অপহরণকারীরা। এ ছাড়া এক কলিগকে ফোন দিয়ে ড্রয়ার থেকে ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করায়। চেকে সই নিয়ে আসামি কামরুল যায় টাকা তুলতে। পরে তাকে আটক করে ব্যাংকের কর্মচারীরা।

এ দিকে, আবুল কালাম আজাদের পরিবার ৫ লাখ টাকা নিয়ে গাবতলী এসেছে বলে জানানো হয়। অপহরণকারী তাকে নিয়ে রাস্তায় বের হলে কৌশলে পালিয়ে আসেন তিনি। পরে এ ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ ১১ ডিসেম্বর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল ৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা। ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মার্কেট আওয়ার/তারিকুল