ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

আইপিওর অর্থ বিনিয়োগে বাড়তি সময় চায় ইউনিয়ন ব্যাংক

২০২৩ জুন ১৬ ১০:০৫:১৪
আইপিওর অর্থ বিনিয়োগে বাড়তি সময় চায় ইউনিয়ন ব্যাংক

এ কারণে ব্যাংকটি আইপিও অর্থ ব্যবহারের জন্য আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই মধ্যে ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয়া হয়েছে। এখন এ সময় বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন চাইবে ব্যাংকটি।

২০২১ সালের ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিয়ন ব্যাংকের আইপিওতে সাবস্ক্রিপশন অনুষ্ঠিত হয়। ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৪২৮ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে ব্যাংকটি। এজন্য ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৪২ কোটি ৮০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে। উত্তোলিত অর্থে এসএমই ও প্রজেক্ট অর্থায়ন, সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সুপাশি করেছে ব্যাংকটির পর্ষদ। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) অনুষ্ঠিত ব্যাংকের এজিএমে এ বিষয়েও শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেয়া হয়েছে।

সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৭ পয়সা। যা আগের অর্থবছরে ছিল ১ টাকা ৫৬ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮২ পয়সায়। যা আগের অর্থবছর শেষে ছিল ১৭ টাকা ৯১ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ অর্থবছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ বোনাস। সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৬ পয়সা। যা আগের অর্থবছরে ছিল ১ টাকা ৭৭ পয়সা। ওই বছর শেষে ব্যাংকের এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৯১ পয়সায়। যা আগের অর্থবছর শেষে ছিল ১৬ টাকা ৩৮ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ৩৬ পয়সা। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৫ পয়সা। ৩১ মার্চ শেষে ব্যাংকটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৮৩ পয়সায়।

২০২২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। রিজার্ভে ঘাটতি রয়েছে ৩৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৩ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার ৪৪৮। এর মধ্যে ৫৬.৬০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০.৬৮ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৩২.৮২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

মার্কেট আওয়ার/মামুন

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর