ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

ফ্লোর ভেদ করে আকাশে উড়ছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ

২০২৩ জুন ০৩ ১৫:২৮:৫৪
ফ্লোর ভেদ করে আকাশে উড়ছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ

সূত্রমতে, ২৮ মে কোম্পানিটির শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা অতিক্রম করে ৫৫ টাকা ২০ পয়সায় ক্লোজিং হয়। তারপরের চার কর্মদিবসই শেয়ারটির দর সামনে এগিয়েছে। এরমধ্যে ৩০ মে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে উঠে বিক্রেতাশুন্য হওয়ার দৃষ্টান্তও রেখেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার শেয়ারটি ক্লোজিং হয়েছে ৭২ টাকা ৭০ পয়সায়।

এতে দেখা যায়, পাঁচ কর্মদিবসে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ১৯ টাকা ৩০ পয়সা বা ৩৬.১৪ শতাংশ। যার মাধ্যমে শেয়ারটি ডিএসইর সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ভেদ করেই যেন আকাশে উড়ছে। বর্তমানে শেয়ারটি গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড দরে বিক্রি হচ্ছে। গত দুই বছরের মধ্যে ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শেয়ারটি সর্বোচ্চ ৬৫ টাকায় উঠেছিল। তখন শেয়ারটি নিয়ে কারসাজির অভিযোগ উঠে। তারপর শেয়ারটির দরে ক্রমাগত পতন হয় এবং ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর শেয়ারটি ৩৮ টাকায় নেমে যায়। এরপর শেয়ারটির দাম ফের বাড়তে থাকে। ২০২২ সালের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে শেয়ারটির দাম ৫৬ টাকায় তোলা হয়। তারপর ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হলে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শেয়ারটি ৫৩ টাকা ৪০ পয়সায় ফ্লোর প্রাইসে আটকে যায়।

বাজারে গুঞ্জন রয়েছে, কোম্পানিটির কতিপয় পরিচালক শেয়ারটি নিয়ে নতুন করে কারসাজিতে মেতেছেন। যে কারণে শেয়ারটির দাম কোনো কারণ ছাড়াই টানা বাড়ছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলিফ গ্রুপের আরেক কোম্পানি আলিফ ম্যানুফেকচারিংয়ের শেয়ার গত বছরের ২২ অক্টোবর থেকে ফ্লোর প্রাইসে অবিক্রীত অবস্থায় ঘুমাচ্ছে। গত দুই বছরের মধ্যে শেয়ারটি ২৫ টাকার ওপরে তোলা হয়। তারপর চড়া দরে বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ারটি গছানো হয়। এরপর শেয়ারটি নেমে যায় ১৩ টাকার নিচে। ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হলে শেয়ারটি ১৩ টাকা ৩০ পয়সায় গত ৪ অক্টোবর থেকে অবিক্রীত অবস্থা পড়ে আছে।

এদিকে, ২০২১ সালের মাঝামাঝি চট্টগ্রামে অবস্থিত দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সিএন্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণ করে আলিফ গ্রুপ। কোম্পানিটির উৎপাদন চালু করার আগেই এর শেয়ারদর ২ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১১ টাকার ওপরে তোলা হয়। এরপর গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শেয়ারটি ফ্লোর প্রাইস ১০ টাকা ২০ পয়সায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা চড়া দামে শেয়ারটি কিনে এখন আটকে আছেন। চাইলেও শেয়ারটি এখন বিক্রি করতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বিডি অটোকারস ও লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে ৫ ব্যক্তি ও ৬ প্রতিষ্ঠানকে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। তাদের মধ্যে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ও আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিমুল ইসলাম, তার বাবা ও আলিফ গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম, তার মা, স্ত্রী ও দুই কোম্পানির নামে অবৈধভাবে শেয়ার কেনাবেচা করায় দুই কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

মার্কেট আওয়ার/মামুন

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর