ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি: শাহরিয়ার আলম

২০২৩ জুন ০১ ০৮:১০:৫৬
নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি: শাহরিয়ার আলম

বুধবার রোজানা ইতেফাক প্রকাশ করেছে 'বাংলাদেশ অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: কনভারসেশন উইথ এম.ডি. শাহরিয়ার আলমের নামে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তারা বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক, নির্বাচন, বৈদেশিক চাপ, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর, জিডিআই, রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইতেফাকের নির্বাহী পরিচালক ও প্রকাশক তারিন হোসেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশ আরেক দেশের সঙ্গে চরম উত্তেজনার মুহূর্তেও বাণিজ্য বন্ধ করেনি। এটি যদি সত্যি হয়, তবে বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে বাণিজ্যকে কেন জড়িয়ে ফেলা হবে। তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আমরা রাজনৈতিকভাবে যোগাযোগ করছি। ২০২১ সালের পর পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই স্বীকার করে নিয়েছে। এছাড়া আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে, যেটি আমরা অনুসরণ করব।

বাংলাদেশ কোনো বিদেশি চাপে প্রভাবিত হয় না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো বিদেশি শক্তির চাপে শেখ হাসিনা প্রভাবিত হন না। আমাদের বিদেশি বন্ধুরা যদি এর মানে না বুঝে থাকেন যে, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা এবং এটি তার অহংকার। তিনি আরও বলেন, যদি বিদেশি চাপ প্রয়োগ করাও হয়, তাহলেও কি শেখ হাসিনাকে সরিয়ে ফেলা যাবে?

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসানীতি নিয়ে শাহরিয়ার আলম জানান, আমরা আশা করি, ওই নীতির যথেচ্ছ ব্যবহার হবে না। ভিসানীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরিপক্ব সম্পর্ক রয়েছে। তবে অন্য যে কোনো সম্পর্কের মতো এখানেও কিছু অস্বস্তিকর উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অস্বস্তিকর হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত না দেওয়া। এটি সমস্যার একটি বড় উৎস। এর সমাধান হচ্ছে খুনিকে ফেরত পাঠানো।

তিনি বলেন, যদি সত্যি কথা বলি, সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। কানাডায়ও বঙ্গবন্ধুর আরেকজন খুনি আছে; কিন্তু সেখানকার বিষয়টি ভিন্ন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফেরত না পাঠানোর বিষয়ে তাদের একটি আইন আছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সেরকম কোনো আইন নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চীন যাবেন কি না, জানি না। একটি বন্ধুদেশে তিনি যেতেই পারেন। আমরা বিভিন্ন দেশে যেতে পারি নির্বাচনের আগে। আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া নির্বাচনের কারণে থেমে থাকবে না। সফরই দেশের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডে’ যুক্ত হয়েছে এবং আরও অনেক দেশ এর সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) নতুন উদ্যোগ। এটি নিয়ে আলোচনা হওয়া ভালো। কারণ আমরাও জানি না, এটিতে যুক্ত না হওয়ার মতো কোনো উপাদান আছে কি না।

শাহরিয়ার আলম বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব দলের সমভাবে প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। অবশ্যই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর দায়িত্ব বেশি। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে সবার দায়িত্ব সমান। তিনি বলেন, আশা করি, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি বলেছে, পুলিশ, প্রশাসন এবং যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত, তাদের দেখে নেওয়া হবে এবং এটি বড় ধরনের হুমকি। আমি আশা করব, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি বিবেচনা করবে। ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ বিষয়টি শেষ হয়ে গেছে, সেটিতে ফিরে যাবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি করাটা এখন হবে অবৈধ এবং এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা হিসাবে বিবেচিত হবে।

মার্কেট আওয়ার/হাবিব

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর