ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে ঢাকায় আসবে

২০২৩ মে ২০ ১১:২২:৩৫
ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে ঢাকায় আসবে

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে সঙ্কটের সময়ে এটি একটি জরুরি ব্যবস্থা হলেও একটি টেকসই সমাধানের জন্য একটি পাইপলাইনের মাধ্যমে ভোলাকে জাতীয় গ্রিডের সাথে সংযুক্ত করা প্রয়োজন।

দ্বীপ জেলা ভোলা একটি সম্ভাব্য শক্তির হটস্পট। ১.৭০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সম্ভাব্য মজুদ থাকা সত্ত্বেও ভোলা দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভোলার গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নীতিনির্ধারকরা দীর্ঘদিন ধরে উপযুক্ত বিকল্পের সন্ধান করছেন। অবশেষে সিএনজি আকারে ঢাকায় আনা হচ্ছে ভোলার গ্যাস। আগামীকাল রোববার একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের ১০ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। জানা গেছে, প্রাথমিক অবস্থায় সিএনজি আকারে ভোলা থেকে আনা হবে দৈনিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস, পরবর্তীকালে উন্নীত হবে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুটে, যা সরবরাহ হবে জ্বালানি সংকটে ভোগা ঢাকার আশপাশের শিল্পকারখানায়। যদিও স্বাভাবিকের তুলনায় এ প্রক্রিয়ায় গ্যাসের দাম পড়বে ৫৮ শতাংশ বেশি। শিল্প গ্রাহকরা যেখানে পাইপলাইনের গ্যাস পাচ্ছেন ৩০ টাকা দরে, সেখানে সিএনজি আকারে আনা গ্যাসের জন্য গুনতে হবে ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা। বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) বলছে, আগামী দুই মাসের মধ্যেই শুরু হবে এ প্রক্রিয়ায় গ্যাস সরবরাহ। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানান, এটা জোর করে দেয়ার বিষয় না। আমাদের চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও যে গ্রাহকরা স্বল্প চাপে ভুগছেন, সেখানে যদি তিনি সিএনজিটা একটু বেশি দামে নিয়ে উৎপাদনটা বহাল রাখতে পারেন, তাহলে আমার মনে হয় যে শেষে প্রতিষ্ঠান তার পণ্যের মূল্য দিয়ে এটা সমন্বয় করতে পারবে। সিএনজি আকারে গ্যাস সরবরাহকে আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। টেকসই সমাধানে পরামর্শ আসছে ভোলাকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার। একই সঙ্গে নিরাপত্তাগত ঝুঁকি এড়াতে সর্বোচ্চ নজরদারির তাগিদও দিচ্ছেন তারা। বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম জানান, ‘এটা যৌক্তিক যে এখন কিছু নেই। তাই আমি যতটুকু পারি, সিএনজি নিয়ে আসলাম কয়েকটা কারখানাতে। কিন্তু এটা তো সমাধান দেবে না। কারণ সিএনজি দিয়ে অতি অল্প পরিমাণ গ্যাস আনা যাবে। আমাদের যেটা দরকার, সেটা হচ্ছে একটা পাইপলাইন। দেশের অপর এক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, ‘‘১ দশমিক ৭ টিসিএফ যদি পাওয়া যায়, তাহলে আমি বলব যে সেখানে বড় ধরনের মজুত আছে। সেক্ষেত্রে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস আনাটা অর্থনৈতিকভাবে টেকসই হবে বলে মনে করি। এ ছাড়া ২৫ মিলিয়ন কিউবিক ফিট গ্যাস ট্রাকে পরিবহন করাটা কোনো কৌতুক না, এটা বাস্তব।’’

হাবিব/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর