দেশে আর প্রহসনের নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না : ফখরুল

আজ সোমবার দুপুরে সৈয়দপুর পৌরসভার কমিউনিটি সেন্টারে সৈয়দপুর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ দেশে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে। বারবার ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে বাকশালী কায়দায় একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। নির্বাচনের মীমাংসিত ইস্যু তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দলীয় সরকারের নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনাকে সরকারে রেখে কোনো নির্বাচনে যাবে না। এ দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আমরা রাজপথে থেকে আওয়ামী লীগের সাজানো নির্বাচন প্রতিহত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করব। আর এর মধ্য দিয়ে দেশে প্রতিষ্ঠা করা হবে সত্যিকার অর্থের গণতন্ত্র।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য। যার ভোট সে দেবে, সেই ভোটে জনগণই বেছে নেবে তাদের পছন্দের সরকার।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের মুখ বন্ধ রাখতে দেশে ভীতির সংস্কৃতি চালু করেছে। সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ভিন্নমত দমন করছে। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হবে না।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য। কিন্তু ’৭৫ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। আর শহীদ জিয়া একদলীয় শাসন থেকে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা প্রবর্তন করেছিলেন। আমরা দেশনেত্রীর দেখানো পথ ধরে অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চাই। এ জন্য তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

সৈয়দপুর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অ্যাড. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। সভা সঞ্চালন করেন বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম জনী ও কামরুল ইসলাম কার্জন।

মামুন/