ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু

২০২৩ মার্চ ০২ ১৫:১৪:৫৬
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু

এদিন আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব তার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন। তবে এ মামলায় আসামি শামিমা নাসরিন উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপপরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী আলমগীর ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কম মূল্যে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। পরবর্তীতে তিনি ইভ্যালী অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দুটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলেন। তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক ৫ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। আরেকটি আইডি বন্ধুর নামে খুলে ২৩ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। তিনি দুই আইডি দিয়ে সর্বমোট ২৮ লাখ টাকার অর্ডার করেন বিকাশ/নগদ, ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু ইভ্যালী কর্তৃপক্ষ তার অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তার অর্ডারকৃত পণ্যগুলো বুঝে পাননি।

এ ব্যাপারে ইভ্যালী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে। তিনি আজ পর্যন্ত মোট ২৮ লাখ টাকার অধিক অর্ডারকৃত পণ্য বুঝে পাননি। আসামিরা সারা দেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের নিকট থেকে কম মূল্যে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেন।

নোমান/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর