ব্যাংক খাতে মেয়াদি আমানত কমছে

আমানত প্রবাহ কমে যাওয়ায় তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের ব্যাংক খাত। ফলে ব্যাংকগুলো সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডে নিজেদের বিনিয়োগ কমিয়ে এনেছে। যেসব বিল-বন্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে সেগুলো নবায়ন করেনি। আবার মেয়াদ পূর্ণ হয়নি এমন অনেক বিল-বন্ডও ব্যাংকগুলো নগদায়ন করে ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ কমেছে ৫ দশমিক ৬১ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যাহতভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় দেশের ব্যাংক খাতের ওপর মানুষের আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ কারণে অনেকে ব্যাংকে থাকা নিজেদের সঞ্চয় ভেঙে ফেলেছেন। উচ্চমূল্যস্ফীতির পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দার কারণেও কমে গেছে। জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মানুষের হাতে সঞ্চয় থাকছে না। ব্যাংকের মেয়াদি আমানত কমে যাওয়ার পেছনে রয়েছে এটিরও ভূমিকা।
মেয়াদি আমানত হলো দেশের ব্যাংকগুলোর তহবিল সংগ্রহের প্রধান উৎস। দেশের ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ৮৮ শতাংশই মেয়াদি। গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত এ অর্থ থেকেই ঋণ বিতরণ করা হয়। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা ডিমান্ড বা তলবি আমানত। বাকি ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা বিভিন্ন মেয়াদের। এ ধরনের আমানতের সর্বনিম্ন মেয়াদ তিন মাস। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত বছরের শেষ মাস তথা ডিসেম্বরে মেয়াদি আমানতের পরিমাণ ১ হাজার ৮৮৩ কোটি টাকা কমে গেছে। তবে এ সময়ে তলবি আমানতের পরিমাণ বেড়েছে। ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাবে থাকা আমানতকে তলবি শ্রেণীতে রাখা হয়।
সামগ্রিকভাবে আমানত প্রবৃদ্ধির দিক থেকে ব্যাংকগুলোর জন্য গত বছর একদমই ভালো যায়নি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানত ছিল ১৪ লাখ ৯ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে তা ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। সে হিসেবে এক বছরে ব্যাংক খাতে আমানত বেড়েছে ৭৯ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। তবে একই বছর আমানতের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণপ্রবাহে। গত বছর ব্যাংকগুলোর ঋণ ১৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ১১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘২০২২ সাল বাংলাদেশসহ বিশ্ব অর্থনীতি বিভিন্নমুখী সংকটের মধ্য দিয়ে পার করেছে। সংকটগুলোর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের ব্যাংক খাতের আমানতের ওপরও। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বাজারে বিক্রি করেছে। এর মাধ্যমে বাজার থেকে সমপরিমাণ বাংলাদেশী মুদ্রা চলে গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। আবার নেতিবাচক বিভিন্ন সংবাদের কারণে কিছু গ্রাহক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছে। উচ্চমূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের হাতে সঞ্চয় করার মতো অর্থ থাকছে না। সব মিলিয়ে ব্যাংকে মেয়াদি আমানত কমে যাওয়া অর্থনৈতিক সংকটেরই বহিঃপ্রকাশ।’
গ্রাহকদের জমাকৃত অর্থের সুরক্ষা দিতে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোকে আমানতের ১৩ শতাংশ বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখতে হয়। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এসএলআরের হার সাড়ে ৫ শতাংশ। এটি সংরক্ষণ করতে হয় সরকারের ট্রেজারি বিল-বন্ড কেনার মাধ্যমে। ইসলামী ব্যাংকগুলো সংরক্ষণ করে সুকুকসহ ইসলামী বন্ডে। নগদ তারল্য বেশি হলে ব্যাংকগুলো এসএলআরের নির্দিষ্ট হারের চেয়েও বেশি অর্থ ট্রেজারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, তারল্য সংকটের কারণে গত এক বছরে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ৪১ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা কমে গেছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ নেমে এসেছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৯৭ কোটি টাকায়। সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
আর্থিক খাতের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির খবরে আতঙ্কিত অনেক গ্রাহক গত বছর ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬৮ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে এত পরিমাণ নগদ অর্থ আগে কখনো ব্যাংকের বাইরে ছিল না। ২০২১ সাল শেষেও ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ২৭ শতাংশেরও বেশি।
সাইফুল/
পাঠকের মতামত:
- মেট্রোরেল বন্ধের হুঁশিয়ারি
- নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নানাকে খুঁজে পেলেন অভিনেত্রী
- আগামী ৩ দিন বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জানাল আবহাওয়া অফিস
- ২০ ফেব্রুয়ারি নাহিদের পদত্যাগ: ২৪ ফেব্রুয়ারি দল ঘোষণা
- জাহিন স্পিনিংয়ের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন
- সূচকের উত্থানে চলছে লেনদেন
- ২ ঘণ্টায় শেয়ারদর বেড়েছে ২২৪ কোম্পানির
- শুরুতেই ৩ কোম্পানির শেয়ারে চমক
- দলে যোগদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন তথ্য উপদেষ্টা
- ২০২৪-এ খেলাপি ঋণ রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাল!
- সামিট পাওয়ারের ক্যাশডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ফের বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম, ইতিহাসে সর্বোচ্চ
- বাংলাদেশের ইন্টারনেট ভবিষ্যৎ বিপন্ন
- চার জেলার এসপি প্রত্যাহার
- ১৮ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট
- খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সময় জানা গেল
- আইএমএফ-এর চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ে বিলম্ব: অর্থ উপদেষ্টা
- বিএসসি’র দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- রবির লভ্যাংশ ঘোষণা
- দ্বিতীয় কর্মদিবসে ৫ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- কৃষিবিদ ফিডের বারবার আইন লঙ্ঘন: বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ
- বিএসইসির নতুন মুখপাত্র নিয়োগ
- ১৭ ফেব্রুয়ারী টাকার পরিমানে টপ ২০ শেয়ার
- আগামীকাল লেনদেনে ফিরবে এক কোম্পানি
- ২ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ মঙ্গলবার
- ‘আমি কারাগারে থাকলেও বিয়ের অনুষ্ঠান যেন করে ফেলে’
- উপদেষ্টা আমার চাচি নন: ডা. তাসনিম জারা
- ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ
- ‘আমি লাউ, কদু দুটিরই বিপক্ষে’: হাসানুল হক ইনু
- খুলনা প্রিন্টিং এবং এসআলম স্টিলের রমরমা লেনদেন
- শেয়ারহোল্ডারদের টাকা নিয়ে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজে বড় অনিয়ম
- লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানাল গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড
- বেক্সিমকো শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সরকারী উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে মার্জিন ঋণের ফাঁদ: বিপদে লাখো বিনিয়োগকারী, আসছে কঠোর ব্যবস্থা
- গ্রামীণফোনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশাল সুখবর
- রেসের ১০টি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট ব্লক মার্কেট ট্রানজাকশনে বাধা নেই
- হঠাৎ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তালিকায় রবির শেয়ার
- শিবলী রুবাইয়াতের জামিন আবেদন নামঞ্জুর
- ৫ খাতের বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ মুনাফা
- আইসিবি তিন হাজার কোটি টাকা পেল ৪ শতাংশ সুদে
- শেখ হাসিনার আরেকটি অডিও ফাঁস
- জাতীয় পার্টির সঙ্গে খেলতে আসলে পিঠে চামড়া থাকবে না
- মূলধন ফিরেছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা
- ১৯ খাতে শেয়ার দাম বেড়েছে
- ট্রাম্প জয়ের খবরে ঊর্ধ্বমুখী বিশ্ব শেয়ারবাজার
- এসআইবিএল ব্যাংকে ৫৮৯ জনের চাকরিচ্যুতি
- পদত্যাগ করেছেন দুদক চেয়ারম্যান এবং দুই কমিশনার
- অবশেষে উত্থানে ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজর
- পদ্মা ব্যাংকের ঋণ খেলাপি জুলহাস গ্রেপ্তার