ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

১১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯ ০৯:৩৯:০৭
১১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট

মার্চের ১১-১৩ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত এই সামিটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রাজধানির একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করতে এই সামিট বিশেষ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘এই সামিট আয়োজনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ। বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক, বাজার বিশ্লেষক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তুলে ধরতে এই আয়োজন অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।’

তিনি বলেন, এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ১২ থেকে ১৫টি দেশের মন্ত্রী অংশ নেবেন বলে আমরা আশা করছি। পাশাপাশি কয়েকটি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এবং ইইউর ট্রেড কমিশনারকেও আনার চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৃহৎ কোম্পানির প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।

জসিম উদ্দিন বলেন, টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে। বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণে অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে সরকার ‘বিজনেস ফ্যাসিলিটেশন’কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। সুতরাং এখনই সময় বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার। এখনই সময় আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে যাত্রাকে ত্বরানিত করা।

বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশে যেসব বিদেশী কোম্পানি কাজ করছে তারা ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করেছে। এজন্য তারা আরও বেশি বেশি বিনিয়োগ করছে। তাছাড়া আমাদের দেশীয় বাজার অনেক বড়। সুতরাং সময় এসেছে এখন বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসার।

বাংলাদেশ বিজনেস সামিটকে সফল ও স্বার্থক করতে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা চান এফবিসিসিআই সভাপতি। এই আয়োজন বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করবে বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, বাংলাদেশে উৎপাদিত সেরা পণ্যগুলোকে সামিটে উপস্থাপন করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের জন্য উদ্যোক্তাদের মধ্যে ‘বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননা প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশে উৎপাদিত সেরা পণ্যগুলোকে তুলে ধরার জন্য বিজনেস সামিটের পাশাপাশি আমরা ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো’ এর আয়োজন করেছে এফবিসিসিআই। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে তুলে ধরা হবে এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে। এই এক্সপোতে টেক্সটাইল, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবার, চামড়া, সিরামিক, পাট এবং হস্তশিল্পসহ বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বিভিন্ন সেক্টরের পণ্য এবং পরিষেবা প্রদর্শিত হবে। বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রচার, বাংলাদেশি পণ্য ও পরিষেবার প্রচার, এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলির জন্য ব্যবসার সুযোগ তৈরিতে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশে বিশেষ অবদানের জন্য উদ্যোক্তাদের সম্মানিত করতে এবার ‘বাংলাদেশ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননার ব্যবস্থা করেছে এফবিসিসিআই। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অসামান্য স্বকৃতীস্বরুপ এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। বিশেষ এই সম্মাননার জন্য অর্থনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে বিশেষ জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মোঃ আমিন হেলালী, সালাউদ্দিন আলমগীর, হাবীব উল্লাহ ডন, পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা ড. এম. মাশরুর রিয়াজ, এফবিসিসিআই পরিচালকবৃন্দ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নোমান/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর