ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

উত্থান চেয়ে পতন ১৫ গুন বেশি

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ১২ ১৮:৩৫:৫২
উত্থান চেয়ে পতন ১৫ গুন বেশি

ডিএসইর লেনদেন কমে সাড়ে চারশ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। আর সিএসইর লেনদেন কমে ৮ কোটি টাকার ঘরে এসেছে। ডিএসইতে ১৬৪টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ১১টির বেড়েছে। সিএসইতে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ১৮টির বেড়েছে। রবিবার ঢাকা ও চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, রবিবার ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিনেও বিক্রেতার চাপ বহুগুন বেশি ছিল। ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান তুলনায় পতন প্রায় ১৫গুন বেশি।

আরও বলেন, সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস ডিএসইতে গত ২৪ আগস্ট পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা। পতন পরের দুই কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) উত্থানে ছিল পুঁজিবাজার। ওইসময় লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিলো। পরের দিন সোমবার লেনদেনে ভাটা পড়ে। সেখান থেকে পরের দুই কার্যদিবস লেনদেন কিছুটা বাড়ে।

পরেরদিন লেনদেন আবারো কমে। এরপরের কার্যদিবস লেনদেন বেড়ে ২৩শ কোটি টাকায় ওঠেছিল। পরে জোয়ার-ভাটায় চলে পুঁজিবাজারের লেনদেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর লেনদেন বছরের সেরা রেকর্ড করেছিলো। ওইদিন লেনদেন ২৮শ কোটি টাকা এসেছিলো। পরে ফের জোয়ার-ভাটায় পড়ে লেনদেন। এরই ধারায় মঙ্গলবার ভাটা পড়ে লেনদেন। ফলে আগের কার্যদিবস থেকে কমে লেনদেন ৪৭০ কোটি টাকায় এসেছে।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪৭০ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬০৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ দশমিক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৫৬ দশমিক ১৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২২৫ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৬৫ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১১টি এবং কমেছে ১৬৪টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৪৬টির। এদিন ডিএসইতে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন জেনেক্স ইনফোসিস ৩৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে শাইনপুকুর সিরামিক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ওরিয়ন ইনফিউশন, সান লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সী, সী পার্ল বিচ, ওরিয়ন ফার্মা এবং ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার।

অপরদিকে, সিএসইতে রবিবার লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ১৪ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৮টি, কমেছে ৬৩টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৪২টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫৬ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৭৮ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৯৯ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৩২ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৩৪ দশমিক ৫১ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ৫ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩২৭ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৩২ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৭৭ দশমিক ১৭ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৬৫ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে।

এদিন সিএসইতে সী পার্ল বিচের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন সী পার্ল বিচ ২ কোটি ৬৬ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, শাইনপুকুর সিরামিকস, আমান কর্টন, জেনেক্স ইনফোসিস, ওরিয়ন ফার্মা, এলআর বিডি, বসুন্ধরা পেপার, আইটিসি এবং মেঘনা পেট্রোলিয়ামের শেয়ার।

সাইফুল/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর