ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

রোজায় বেশি সময় দোকান খোলা রাখতে চান ব্যবসায়ীরা

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ ১০:৫৫:১০
রোজায় বেশি সময় দোকান খোলা রাখতে চান ব্যবসায়ীরা

বৃহস্পতিবার ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছে ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান টিপু। তিনি পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের বিক্রিতে নিট মুনাফার (প্রকৃত লাভ) হার ঠিক করে দেওয়ারও দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমানে দোকানপাটে বেচাকেনা শুরু হয় মাগরিবের নামাজের পর। শীত শেষে। সন্ধ্যা হতেই এখন ৭টা বাজবে। সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়ে ব্যবসায়ীরা এখন রাত ৮টায় দোকান বন্ধ করছেন। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ছেন। ফলে ক্ষতি পোষাতে ১৫ রমজান থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা প্রয়োজন। অন্যদিকে, ১৫ রোজার পর পোশাকের দোকানে বেচাকেনা জমে ওঠে। সেজন্য ঈদ পর্যন্ত যতক্ষণ ক্রেতা, ততক্ষণ মার্কেট খোলা রাখার সুযোগ দিতে হবে।

ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানের বিষয়ে আরিফুর রহমান টিপু বলেন, দোকান ব্যবসায়ীরা কোনো পণ্য উৎপাদন বা আমদানি করেন না। তাই তাদের পক্ষে সিন্ডিকেট করা সম্ভব নয়। এই চক্রে দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৫-২০টি ব্যবসায়ী গ্রুপ জড়িত। তারা আমদানিকারক, উৎপাদক এবং নিজস্ব দোকানের মাধ্যমে বিপণনকারী। তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান শান্তি বা অভিযান পরিচালনা হলে পণ্যবাজার স্থিতিশীল হবে।

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা চাই প্রকৃত মজুতকারীদের শাস্তি হোক। তবে অভিযানের আগে একজন ডিলার, পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা কী পরিমাণ পণ্য মজুত রাখতে পারবেন, এর একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। এর ভিত্তিতে অভিযান হবে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, পণ্যের ক্রয়মূল্য সরকার নির্ধারিত দামের বেশি হলে বিক্রেতা বা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা করতে হবে। এ ছাড়া যেসব খুচরা দোকানে পণ্যের মূল্য তালিকা থাকবে না, তাদের বিরুদ্ধে অধিদপ্তর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে ব্যবসায়ীরা সরকারের পক্ষেই থাকবে।

তবে বর্তমানে খুচরা দোকানগুলোতে চিনি, ছোলা, ডাল ও দুধ সরবরাহে ঘাটতি আছে দাবি করে ব্যবসায়ীরা জানান, এদিকে সরকারের নজরদারি করা উচিত।

মামুন/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর