কেন নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করবেন

একটি নরম-ব্রিস্টেড টুথব্রাশ দিয়ে ব্রাশ করা শুধুমাত্র মাড়িকে উদ্দীপিত করে না বরং তাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত রোধ করে। এ জন্য প্রয়োজন সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করা।

কীভাবে দাঁত ব্রাশ করবেন:

১. ডান টুথপেস্ট দিয়ে আপনার ব্রাশটি ভিজিয়ে নিন এবং এতে ফ্লোরাইড টুথপেস্টের একটি পাতলা স্ট্রিপ লাগান। সর্বদা এমন একটি টুথপেস্ট বেছে নিন যাতে ফ্লোরাইড থাকে। কারণ ফ্লোরাইড ক্যাভিটি এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।

২. মাড়ির লাইনে 45 ডিগ্রি কোণে আপনার দাঁত ব্রাশ করুন। 45-ডিগ্রি কোণে গাম লাইন থেকে শুরু করে ছোট, বৃত্তাকার গতিতে ব্রাশ করা শুরু করুন। অনুভূমিকভাবে ব্রাশ করবেন না। এভাবে 2-3 মিনিট ব্রাশ করুন।

৩. এখন আপনার উপরের মাড়ি ব্রাশ করুন। তারপর মুখের একপাশে পিছনের দাঁত বা উপরের মাড়ি ব্রাশ করা শুরু করুন। টুথব্রাশটি ভিতরে এবং বাইরে নাড়ুন এবং মুখের পেছন থেকে সামনের দিকে সরান। মুখের অন্য পাশে এটি পুনরাবৃত্তি করুন।

৪. তারপর ঘড়ির কাঁটার দিকে আপনার নীচের মাড়ি ব্রাশ করুন। আপনার মুখের একপাশে 2-3 মিনিটের জন্য আপনার নীচের মাড়ি ব্রাশ করুন তারপর মুখের অন্য পাশে যান এবং পুনরাবৃত্তি করুন।

৫. এই পর্যায়ে, দাঁতের ভিতরে ব্রাশ করুন। দাঁতটি চওড়া করে খুলুন এবং সামনের নীচের এবং উপরের দাঁতের ভিতরের অংশটি একটি লম্ব কোণে টুথব্রাশের ডগা দিয়ে ব্রাশ করুন। কারণ সাধারণত ব্রাশ করার সময় এই অংশটি মিস হয়ে যায়।

৬. তারপর জিহ্বা এবং গালের ভিতরে ব্রাশ করুন। কারণ আপনার জিহ্বা এবং গালের ভেতরটাও পরিষ্কার করা উচিত, কারণ এতে প্লাক, খাদ্য কণা এবং ব্যাকটেরিয়া থাকে; যার কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। এ জন্য টুথব্রাশের সাহায্যে আপনার জিহ্বা, মুখের উপরের অংশ এবং গালের ভেতরের অংশ হালকা ও বৃত্তাকার গতিতে ব্রাশ করুন।

৭. ব্রাশ করার পরে আপনার মুখ এবং টুথব্রাশ ধুয়ে ফেলুন এবং এক চুমুক জল নিন এবং এটি আপনার মুখের চারপাশে ঘুরিয়ে দিন এবং থুথু ফেলুন। এছাড়াও ব্রাশ থেকে যেকোনো ব্যাকটেরিয়া দূর করতে আপনার টুথব্রাশ ধুয়ে ফেলুন।

আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি সুপারিশ হল ADA-অনুমোদিত ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করে নরম-ব্রিস্টেড টুথব্রাশ দিয়ে দিনে দুবার আপনার দাঁত ব্রাশ করা।

জহির/