ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

নয়া-কৌশলে কেনাবেচা চলছে এপেক্স ফুটওয়্যারের

২০২৩ জানুয়ারি ০৮ ১৮:৩৯:৪৯
নয়া-কৌশলে কেনাবেচা চলছে এপেক্স ফুটওয়্যারের

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য দেখা গেছে, এপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়্যদ নাসিম মুঞ্জুর ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৬২৫টি শেয়ার বাজার মূল্যে বিক্রির ঘোষণা দেন। ঠিক তখন কোম্পানিটির শেয়ারদর একবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে অবস্থান করছিল।

সদ্য সমাপ্ত ২০২২ সালের গত দুই মাসে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা সৈয়্যদ মঞ্জুর এলাহি টানা তিন বারে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০টি শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরমধ্যে কিছু শেয়ার কেনা সম্পন্ন হয়েছে। কোম্পানিটির এই উদ্যোক্তা গত দুই মাসের মধ্যে একবার ৬০ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপের ৩৮ হাজার ও ৩৮ হাজার ৫০০ করে শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন।

বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারদর অবস্থান করছে গত একবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে। অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দর এবং শেয়ার বেচার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দরকে প্রধান্য দেয় উদ্যোক্তারা।

অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, কোম্পানিটির উদ্যোক্তরা শেয়ারদর বাড়লে শেয়ার বিক্রি করেন, আবার শেয়ারদর কমলে শেয়ার ক্রয় করেন। এতে করে এই কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে কারসাজি চক্র চাইলেই কারসাজি করতে পারবে না। কারণ যখনই এই শেয়ার নিয়ে কারসাজি করার চেষ্টা করবে ঠিক তখনই শেয়ারদর বাড়বে। আর শেয়ারদর বাড়লে উদ্যোক্তরা শেয়ার বিক্রি করবে। এতে করে কারসাজি চক্র চাইলেই এতো বেশি শেয়ার কিনতে পারবে না। তাই কারসাজি করাও সম্ভব হবে না।

এদিকে, কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে কমানোও যাবে না। কারণ যখনই এই শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে পড়েত শুরু করবে ঠিক তখনই কোম্পানিটির উদ্যোক্তরা শেয়ার কেনা শুরু করবে। এতে করে চাইলেই কোম্পানিটির শেয়ার দরে অস্বাভাবিক পতন গঠানো যাবে না।

সর্বশেষ তথ্যমতে, ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ ক্যাশ এবং ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা।

১৯৯৩ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া স্বল্প মূলধনী কোম্পানিটির পেইড আপ ক্যাপিটাল ১৩ কোটি টাকা। বর্তমানে শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫০টি। এরমধ্যে ৩২.২১ শতাংশ রয়েছে স্পন্সর ডিরেক্টরদের কাছে। ২১.৭৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এবং ৪৬.০১ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

গত একবছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ৩৯৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। অপরদিকে সর্বনিন্ম ২৫৪ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হতে দেখা গেছে। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ক্লোজ হয়েছে ২৫৮ টাকা ২০ পয়সায়।

হাবিব/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

বাজার বিশ্লেষণ এর সর্বশেষ খবর

বাজার বিশ্লেষণ - এর সব খবর