ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

ওরিয়ন গ্রুপের চার কোম্পানির বেহাল দশা

২০২২ নভেম্বর ১৪ ১৮:৫৩:০৫
ওরিয়ন গ্রুপের চার কোম্পানির বেহাল দশা

নয় মাসেরও কম সময়ে শেয়ারের দাম ১০ গুণ বৃদ্ধি পাওয়া ওরিয়ন ইনফিউশন যে ডিভিডেন্ড ও মুনাফা ঘোষণা করেছে, তা ব্যাপকমাত্রায় হতাশ করেছে শেয়ারধারীদের।

একই দশা ওরিয়ন ফার্মার, যে কোম্পানির শেয়ারের দাম তিন মাসে দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ার পর এমনিতেই আছে পতনের ধারায়।

এই দুটি কোম্পানির শেয়ারের দাম এদিন সবচেয়ে বেশি কমেছে এবং সূচক পতনের প্রধান দুই অনুষঙ্গও এই দুই কোম্পানি।

এর মধ্যে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ১০ পয়সা আয় করে এক টাকা ক্যাশ ও প্রতি ১০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারের দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি ১২০ টাকা ৭০ পয়সা বা ১২.৫৮ শতাংশ।

গত ২০ জুনও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৮০ টাকা। বিস্ময়কর উত্থানে অক্টোবরের শেষে ছুঁয়ে যায় এক হাজার টাকা।

গুঞ্জন ছিল কোম্পানির ব্যবসা বেশ ভালো হয়েছে, ডিভিডেন্ড হিসেবে আসবে দারুণ ঘোষণা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায় আগের বছরের তুলনায় শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে কেবল ৭৩ পয়সা।

ডিভিডেন্ড ঘোষণার কারণে এদিন শেয়ারটির কোনো মূল্যসীমা ছিল না। আগের দিন দর ছিল ৯৫৯ টাকা ২০ পয়সা। আজ দিন শেষে দাঁড়িয়েছে ৮৩৮ টাকা ৫০ পয়সায়। এক পর্যায়ে নেমে যায় ৮১৭ টাকায়। এই কোম্পানিটির দরপতনে ডিএসইতে সূচক কমেছে ৫.০৩ পয়েন্ট।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর কমলেও সূচক সবচেয়ে বেশি ৬.৬৬ পয়েন্ট কমিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম গত ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস দেয়ার দিন ছিল ৭৮ টাকা ৭০ পয়সা। কিন্তু অস্বাভাবিক উত্থানে সেপ্টেম্বরের শেষে উঠে যায় ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সায়।

অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শেয়ারের দাম ছিল পতনমুখি। এর মধ্যে রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ যে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে, তাতে দেখা যায়, এবার কোম্পানির আয় গত বছরের চেয়ে কমেছে, সেই সঙ্গে কমেছে ডিভিডেন্ডও।

আগের বছর কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ১ পয়সা আয় করে ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল। এবার শেয়ার প্রতি আয় কমে হয়েছে ৩ টাকা ৬২ পয়সা, ডিভিডেন্ডের ঘোষণা এসেছে এক টাকা।

আগের দিন শেয়ারটির দাম ছিল ১১৬ টাকা ৯০ পয়সা। মূল্যসীমা না থাকার দিন দর কমেছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা বা ১১.৮৯ শতাংশ। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ১০৩ টাকা যা গত ৬ সেপ্টেম্বরের পর সর্বনিম্ন।

একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বিকন ফার্মার দাম কমেছে ৭ টাকা ১০ পয়সা বা ২.৫১ শতাংশ। গত ৩১ জুলাই ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ২৪৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে অল্প কয়েক দিনে ৩৯৩ টাকায় উঠে যাওয়ার পর ডিভিডেন্ড মনঃপুত না হওয়ার পর দর কমছেই। দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ২৭৫ টাকা ৫০ পয়সা, যা এক পর্যায়ে নেমে যায় ২৬০ টাকা ১০ পয়সায়। এই কোম্পানিটির দরপতনে সূচক কমেছে ৩.৩৬ পয়েন্ট।

গ্রুপের অপর কোম্পানি কোহিনূর ক্যামিকেলস এবার ডিভিডেন্ড বাড়ালেও তা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। গত ৩১ জুলাই ফ্লোর প্রাইসের প্রথম দিন শেয়ারদর ৩৮৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে তরতর করে বাড়তে বাড়তে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ৭৫৭ টাকা ৪০ পয়সায় উঠে যায়।

সেখান থেকে পড়তে পড়তে দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ৫০৩ টাকা ৮০ পয়সায়, যদিও দিনের এক পর্যায়ে দর নেমে এসেছিল ৪৮৭ টাকা ৭০ পয়সায়।

এএসএম/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর