দুর্নীতির অভিযোগে চাকরিচ্যুত ডিএসসিসির ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী

সোমবার (২ জানুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সই করা ভিন্ন তিনটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তারা হলেন- দক্ষিণ সিটির অঞ্চল-১ এর উপকর-কর্মকর্তা মো. রবিউল করিম খান, ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতালের স্টোর কিপার রুহুল আলম এবং অঞ্চল-৪ এর রেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট মোহাম্মদ রমজান আলী।

আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, সংস্থাপন ও প্রশাসন বিভাগে (সচিবের দপ্তর) সংযুক্ত উপকর কর্মকর্তা মো. রবিউল করিম খানের বিরুদ্ধে ভবন/স্থাপনার পৌরকর মূল্যায়ন কাজে গ্রাহকদের অবৈধভাবে পৌরকর কমিয়ে দেওয়ার সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণসহ বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

সংস্থাপন ও প্রশাসন বিভাগের (সচিবের দপ্তর) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে সংযুক্ত রেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট মোহাম্মদ রমজান আলীর বিরুদ্ধে কর্মরত থাকাকালীন ঘুষ বাণিজ্য, ঠিকাদারদের বিভিন্ন টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া, করপোরেশনের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ আছে। এ ছাড়া করপোরেশনের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানের নামজারিকরণ ও বাণিজ্য অনুমতিপত্র (ট্রেড লাইসেন্স) প্রদান/ নবায়ন কাজে অবৈধভাবে সুবিধা দেওয়ার আশ্বাসে গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিতেন তিনি। বহিরাগত লোক দিয়ে দোকানের ভাড়া বাণিজ্য অনুমতিপত্র (ট্রেড লাইসেন্স) প্রদান/নবায়ন ও নামজারি করানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আর ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল, বর্তমানে সংস্থাপন ও প্রশাসন বিভাগে (সচিবের দপ্তর) সংযুক্ত স্টোর কিপার রুহুল আলমের বিরুদ্ধে করপোরেশনের টেন্ডার কাজে ব্যক্তিগতভাবে অর্থ বিনিয়োগসহ বিভিন্ন সময়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

এই তিন কর্মকর্তার এমন কর্মকাণ্ডের ফলে সংস্থাটির ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় 'ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা-২০১৯ এর ৬৪ (২) বিধি মোতাবেক জনস্বার্থে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষার্থে তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র আবু নাছের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মূলত দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। পরে তাদের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

এ প্রসঙ্গে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান বলেন, সামগ্রিক অভিযোগ আমলে নিয়ে এ তিন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

মোর্শেদ/