ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

ঝলক দেখাল ওরিয়নের দুই শেয়ার

২০২২ ডিসেম্বর ২৮ ১৬:৩২:৩৩
ঝলক দেখাল ওরিয়নের দুই শেয়ার

কোম্পানি দুটির মধ্যে ওরিয়ন ইনফিউশন গত কয়েক কার্যদিবস টানা বাম দিকে ক্রেতাশুন্য ছিল। আজ কোম্পানিটির শেয়ার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের প্রথমভাগে ক্রেতাশুন্য থাকলেও মধ্যভাগে বিক্রেতাশুন্য হয়ে পড়ে। যা লেনদেনের শেষভাগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এই সময়ে শেয়ারটি কেনার তালিকায় ছিল লাখের বেশি ক্রেতা।

অন্যদিকে, ওরিয়ন ফার্মা গত কয়েক কার্যদিবস ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করেছে। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ভাঙ্গার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তবে আজ ফ্লোর প্রাইস ভেঙ্গে নতুন শক্তিতে সামনে এগিয়েছে।

ওরিয়ন ইনফিউশন

গত ১৩ ডিসেম্বর ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর ছিল ৮৪১ টাকা ৫০ পয়সা। তারপর শেয়ারটির দর টানা নামতে থাকে। গতকাল মঙ্গলবার লেনদেনের আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ঘোষিত ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড বিএসইসি কর্তৃক বাতিলের খবর আসে। এতে কোম্পানিটির শেয়ার দরে পতন প্রবণতা আরও ভারি হয়।

গতকাল মঙ্গলবারও আগের দিনগুলোর ধারাবাহিকতায় লেনদেনের শুরুতেই ক্রেতাশুন্য দরে বামে হল্টেড হয়ে যায় কোম্পানিটির শেয়ার। তারপর দিনভরই চলে বিক্রেতাদের চোটপাট। আজ বুধবারও লেনদেনের শুরুতে ক্রেতা সংকটে পড়ে শেয়ারটি। তবে কিছুক্ষণ পর ক্রেতাদের জমায়েত শুরু হলে শেয়ারটির ক্রেতাশুন্য থাকার অপবাদ ঘুচে যায়। কিছুক্ষণ লেনদেন করার পর দিনের প্রথম ভাগেই শেয়ারটি বিক্রেতাশুন্য হয়ে যায়। এরপর দিনভর দেখা যায় ক্রেতাদের দাপট।

উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ার এক হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। যা ৫১৫ টাকা দর হারিয়ে আজ সর্বশেষ ৪৮৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিএসইসির সুপারিশের ভিত্তিতে সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেডেন্ডর সঙ্গে আরও ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড যুক্ত করেছে। ফলে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ডিভিডেন্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশে।

ওরিয়ন ফার্মা

গত ৬ অক্টোবর ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার দর ছিল ১৪৮ টাকা। তারপর দেখা যায় ধারাবাহিক পতন। যা ১৬ নভেম্বর নেমে দাঁড়ায় ৯৭ টাকা ৭০ পয়সায়। তারপর আবারও টানা দরপতন। যা ২৬ ডিসেম্বর ৭৯ টাকা ৬০ পয়সায় এসে ফ্লোর প্রাইসে আটকে যায়। গতকাল ফ্লোর প্রাইস ভেঙ্গে লেনদেনের চেষ্টা করলেও শেষ বেলায় সেল প্রেসারে আবারও ফ্লোর প্রাইসে থেমে যায়। যদিও দিনশেষে ক্লোজিং প্রাইস হয়েছিল ফ্লোর প্রাইসের ২০ পয়সা ওপরে।

আজ লেনদেনের শুরুতেই ফ্লোর প্রাইসে দেখা যায় লাখের বেশি বিক্রেতা। তারপর বিক্রেতাদের চোখ রাঙ্গানি পদদলিত করে নতুন শক্তিমত্তা নিয়ে শেয়ারটি সামনে এগুতে থাকে। লেনদেনের শেষভাগে কোম্পানিটির শেয়ারের চাহিদা বাড়তে দেখা যায়। শেষ ভাগে ৭৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৮২ টাকা ১০ পয়সায় উঠে শেয়ারটি লেনদেন হয়।

উল্লেখ্য, গত ২২ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারটি ১৫০ টাকার বেশি দরে লেনদেন হয়েছে। যা ৬৮ টাকারও বেশি দর হারিয়ে সর্বশেষ ৮১ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

এএসএম/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর