ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

জিংকের ঘাটতি পূরণে জিংক সমৃদ্ধ ধান আবাদের আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

২০২২ ডিসেম্বর ২০ ১৯:৪৪:২৯
জিংকের ঘাটতি পূরণে জিংক সমৃদ্ধ ধান আবাদের আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘বায়োফর্টিফাইড জিংক রাইস অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি-২০২২’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ মানুষ বায়োফর্টিফাইড জিংক সমৃদ্ধ চাল সম্পর্কে বা এর গুণগুণ সম্পর্কে মোটেই সচেতন নন এবং তারা এই জিংক সমৃদ্ধ চাল বা ধান সম্পর্কে জানেনও না।’ এ সময় তিনি জিংকসমৃদ্ধ চালে ভোক্তাকে আকৃষ্ট করতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আজকাল আমরা রাসয়নিক ফর্মুলায় তৈরি করা জিংক খাচ্ছি। কিন্তু ভাতের মাধ্যমে যে এ উপাদানটি আমরা প্রাকৃতিকভাবে পেতে পারি তা জানি না। এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করা দরকার।’

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দেশের মিলাররা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী চিকন চাল তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করেন। কারণ, গ্রাহকরা জিংক চালের জন্য উৎসাহ দেখান না এবং কৃষকরাও এই ধান চাষ করতে আগ্রহী হন না। কারণ, জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের চাল একটু মোটা হয়ে থাকে। গ্রাহক বা ভোক্তা চিকন আর চকচকে চাল পছন্দ করেন।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ চালেও পুষ্টি থাকে। তবে চাল চিকন করতে গিয়ে পুষ্টির অংশ ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। সারাদেশে বছরে ৪ কোটি টন ধান ক্রাসিং হয়। মিলাররা বলেন, চাল চিকন করতে গিয়ে ৪-৫ শতাংশ হাওয়া হয়ে যায়। সে হিসেবে বছরে ১৬ লাখ টন চাল হাওয়া হয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। এটা না করলে বিদেশ থেকে হয়তো চাল আমদানি করতে হতো না।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘দেশে খাদ্য ঘাটতি হবে না, দুর্ভিক্ষও হবে না।’ অযথা আতংকিত না হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সচেতন আছি, দেশে পর্যাপ্ত ধান চালের মজুত রয়েছে।’ কেউ অবৈধ মজুদ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।

এসময় উক্ত অনুষ্ঠানে বায়োফর্টিফাইড জিংক রাইস উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১১ জন কৃষক, ৩ জন রাইস মিলার ও ১০ জন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

মোর্শেদ/

ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর